নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এসের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়লো বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের একটি হোমের আবাসিক শারিরীক প্রতিবন্ধী এক যুবতী। শুক্রবার বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবাশীষ দাস নামে এক ব্যবসায়ী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল ছবি নামে ওই যুবতী। দেবাশিস নিজেও একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। জেলা সমাজ কল্যান দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়া সদর থানার আঁচুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যানপুর গ্রামে বাড়ি ছবির। বেশ কয়েক বছর আগে তার বাবা, মা দু’জনেই মারা যাওয়ার পর বাঁকুড়া শহরে এক শিক্ষিকার বাড়িতে কিছুদিন পরিচারিকার কাজ করে ষে। কিন্তু সেখানে ওই শিক্ষিকার সাথে কোনও কারণে ঝামেলা হওয়ায় কাজ ছেড়ে দেয় ছবি। এরপর সমাজকল্যান দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শহরের নেতাজী হোমে থাকতে শুরু করে ছবি। কিছুদিন আগেই তাকে বিষ্ণুপুরের একটি হোমে স্নানান্তরিত করা হয়। এরইমধ্যে বাঁকুড়া শহরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা দেবাশীষ দাসের বাবা জেলা সমাজ কল্যান দপ্তরে ছেলের বিয়ে দিতে চেয়ে যোগাযোগ করেন। জেলা প্রশাসন ও সমাজ কল্যান দপ্তর যৌথভাবে দেবাশীষ দাসের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পর ছবি নামে ওই জুবতীর সঙ্গে দেবাশিসের বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেন। অবশেষে শুক্রবার জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সমাজ কল্যান দপ্তরের আধিকারিক, হোম কর্ত্তৃপক্ষ ও দেবাশিসের পরিবারের উপস্থিতিতে বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর শিব মন্দিরে চার হাত এক হয় ওই দম্পতির। জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস দু’জনের সুখী জীবন কামনা করে বলেন, আমরা চেষ্টা করব যদি কোনভাবে নবদম্পতির কাজের সুযোগ তৈরী করে দেওয়া যায়।