নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাপট অব্যাহত, কিন্তু তাসত্বেও এরাজ্যের খাদ্য রসিক বাঙালী কিন্তু তাদের চিরাচরিত ঐতিহ্য থেকে সরে আসতে পারে। এই তীব্র গরমে চিকিৎসকরা যখন হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তখনও আম বাঙালী কিন্তু মেতে তাদের পেট পুজোয়। যার উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে গ্রীষ্মের শুরু থেকেই মুরগীর মাংসের ব্যাপক চাহিদা। অন্যান্য বছরের থেকে এবছরেই বেশি করে দেখা যাচ্ছে পোলট্রি মুরগীর ব্যাপক চাহিদা। এমনিতেই বৈশাখের এই মরসুমে বিবাহের দিনক্ষণ বেশি থাকায় বিয়ে বাড়ির বাজারে মুরগীর মাংসের চাহিদা থাকে তুঙ্গে, কিন্তু ব্যবসায়ীদের বয়ান অনুযায়ী এই বছর বিয়ের মরসুম ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যেও মুরগীর মাংসের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন বেড়েছে মুরগীর মাংসের দাম তেমনি বেড়েছে রাজ্য জুড়ে মুরগীর মাংসের ব্যাপক চাহিদাও। যেখানে বছরের এক এক সময় মুরগীর মাংসের কেজি ১৫০-১৬০ টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করে সেখানে এই বছর মুরগীর মাংসের দাম কমার তো লক্ষণই নেই বরং ক্রমেই তা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগীর দাম কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। কিন্তু এই বিপুল চাহিদা বজায় রাখতে গিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন পোলট্রি ফার্মগুলিতে অসৎ উপায়ে মুরগী বিক্রির অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি বাঁকুড়ার সদর থানা এলাকার ধাদকা গ্রামে একটি পোলট্রি ফার্মে কম দামে মরা মুরগী বিক্রির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ফার্মে কোনও মুরগী মারা গেলে সেই মুরগীটিকে গভীর গর্ত করে পুঁতে দেওয়ায় নিয়ম, কিন্তু তাদের অভিযোগ, ওই ফার্ম কর্তৃপক্ষ ও তাদের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত কম দামে মরা মুরগী ক্রেতা বা ব্যবসায়ীদের বিক্রি করছে। ঘটনায় মরা মুরগী বিক্রির দায়ে ওই ফার্মেরই এক কর্মী জগন্নাথ পোদ্দাইকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করেছে। গ্রামবাসীদের হাতেই আটক হওয়া এক ব্যবসায়ী স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি প্রায়ই ধাদকা গ্রামের ওই ফার্ম থেকে মাত্র ৫০ টাকায় মরা মুরগী কিনে সেটাই রান্না করে দোকানে বিক্রি করতেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মরা মুরগী খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরে ভয়াবহ রোগ বাসা বাঁধতে পারে, ফলে বাঁকুড়া জেলায় এইভাবে মরা মুরগীর মাংস বিক্রি করার খবর সামনে আসায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মনে।