সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- আদিবাসী সম্প্রদায়ের কুড়মি সমাজের রেল অবরোধেরে জেরে ব্যহত রাজ্যের জঙ্গল মহলের চার জেলার রেল পরিষেবা। এর ফলে বুধবার সকাল থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। ভোগান্তিতে যাত্রীরা। রেলের পাশাপাশি এদিন জাতীয় সড়কও অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখায় কুড়মি সমাজের লোকজন।
প্রসঙ্গ তাদের এসটি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে আদিবাসীদের কুড়মি সমাজের মানুষজন। এসটি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে সিআরআই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি, এই অভিযোগ তুলে গতকালই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। এরপর আজ সকাল থেকে জাতীয় সড়কের পাশাপাশি শুরু হয় রেল অবরোধ কর্মসূচি। এমনকি আগামিকাল সকাল ৬টার মধ্যে তাঁদের দাবি পূরণ না হলে জঙ্গলমহলের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে কুড়মি সমাজের এদিনের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে ব্যাপকভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের জেরে প্রায় ৩৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে । খড়্গপুর ও আদ্রা ডিভিশনের মধ্যে খড়্গপুর ডিভিশনে মোট ২৩টি, আদ্রা ডিভিশনে মোট ১৩টি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হবে এবং পাঁচটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্টিল এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, নীলাচল এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেস, জন শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন রয়েছে। অন্যদিকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন রেল অবরোধের জেরে পুরুলিয়া-হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস পুরুলিয়ার বদলে আদ্রা থেকে ছেড়ে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া জেলাতেও। দুরপাল্লার একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করে গোমো দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে সকাল থেকেই বাঁকুড়া স্টেশনে শুরু হয় যাত্রী দুর্ভোগ। একাধিক ট্রেন বাতিলের ফলে অনেক যাত্রীই স্টেশনে এসেও বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও আদিবাসী সমাজের রেল সড়ক অবরোধের ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ।