সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- রাস পূর্ণিমা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম উৎসব। মান্যতা অনুযায়ী এই দিন পূর্ণিমা তিথিতে জোছনার আলোয় বৃন্দাবনে গোপিনীদের সঙ্গে অপূর্ব এক লীলায় মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং তাদের পূর্ণ জ্ঞান দান করেছিলেন। এদিন সব গোপিনীদের সঙ্গে প্রেমময় লীলায় মেতেছিলেন ভগবান।
মথুরা বৃ্ন্দাবনের পাশাপাশি রাস মূলত পূর্ব ভারতের রাজ্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম, মণিপুর ইত্যাদি রাজ্যে মহা ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়। গোপিনী সহযোগে রাধা কৃষ্ণের আরাধনাই রাসের মূল বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের মূলত শান্তিপুর এবং নবদ্বীপ রাস উৎসবের জন্য বিখ্যাত। তবে বাঁকুড়া জেলার দত্ত বাড়ির রাস উৎসব প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন। চার পুরুষ আগে আনুমানিক ১৫০ বছর আগে চিন্তামনি দত্তর হাত ধরে বাঁকুড়ায় শুরু হয় দত্ত বাড়ির রাস উৎসব। দত্ত বাড়ির এই রাস উৎসব মানুষের মধ্যে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে দত্তবাড়ির রাস মন্দির এলাকা রাসতলা নামে খ্যাতি লাভ করে। যা বাঁকুড়ার মানুষ একডাকে চেনেন।
দত্ত বাড়িত এই রাস উৎসব তিনদিন ধরে চলে। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এই কদিন মেতে ওঠেন এলাকাবাসী। রাস উপলক্ষ্যে বসে মেলা। এক সময় হতো রামায়ণ পালা । তবে এখনো আর রামায়ণ পালা না হলেও যাত্রা পালার চল এখনও রয়েছে। চিন্তামনি দত্তর হাত ধরে শুরু হওয়া রাস উৎসব দত্ত পরিবারের সদস্য গোলক বিহারী দত্ত, বিশ্বনাথ দত্ত, রামকৃষ্ণ দত্তর পর এখন শ্যামসুন্দর দত্ত এবং তাঁর দুই ছেলে আয়োজন করে থাকেন।