eaibanglai
Homeএই বাংলায়রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রাস্তা হয়নি, ঝুড়ি কোদাল হাতে গ্রামবাসীরা

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রাস্তা হয়নি, ঝুড়ি কোদাল হাতে গ্রামবাসীরা

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- অভযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে এলাকার রাস্তা তৈরি হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত ঝুড়ি কোদাল নিয়ে নিজেরাই গ্রামের রাস্তা তৈরিতে নেমে পড়লেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের আমরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাগ্রাম পালপাড়ার।

এই কলাগ্রামের পালপাড়ায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি পরিবারের বসবাস। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এলাকায় বিজেপির প্রভাব রয়েছে বলে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত তাদের এলাকার রাস্তাটি তৈরি করে দেয়নি। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা নিয়ে চরম যন্ত্রণার শিকার হতে হচ্ছে গ্রামের মানুষজনকে। বর্ষা এলেই গ্রামের রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এক হাঁটু কাঁদা পেরিয়েই যাতায়াক করতে হয় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই। এমনকি মুমূর্ষ রোগীদেরও ওই রাস্তা দিয়েই নিয়ে যেতে হয়। এছাড়া এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত দ্রব্য এই রাস্তা দিয়েই শান্তাশ্রম বাজার, ইন্দাস সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। গ্রামের মানুষ বারংবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাদের এই একমাত্র রাস্তাটি যাতে কংক্রিটের করে দেওয়া হয় তার দাবি জানিয়ে, কিন্তু তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। এরপরই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে প্রশাসনের সাহায্যের তোয়াক্কা না করে ঝুড়ি কোদাল হাতে নিজেরাই রাস্তা পাকা করতে লেগে পড়েন। এমনকি নিজেরা চাঁদা তুলে ট্রাক্টর ভাড়া করে রাস্তায় বালি ফেলেছেন রাস্তাটি যাতায়াতের যোগ্য করে তোলার জন্য।

আর অন্যদিকে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা লেগেই আছে। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, মানুষ বুঝতে পেরে গেছে এরা কাজ করবে না, তাই নিজেরাই রাস্তা তৈরি করতে নেমে পড়েছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এমনকি যে রাস্তা এলাকার মানুষ তৈরি করছে তার বিল করে তৃণমূল টাকা খেয়ে নেবে বলেও শাসক দলকে কটাক্ষ করেন তিনি।

যদিও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ব্যানার্জি দাবি করেন, রাজ্যজুড়েই উন্নয়ন চলছে। তবে যে এলাকাগুলোতে এখনো কাজ হয়নি আগামী দিনে সেগুলোতেও কাজ হয়ে যাবে। সরকারের এই ধরনের কোন মানসিকতা নেই, সারা রাজ্য জুড়েই উন্নয়ন হচ্ছে। কোথায় বিজেপি লিড পেয়েছে কোথায় অন্য দল লিড পেয়েছে এই মানসিকতা নিয়ে আমাদের নেত্রী কাজ করেন না।

প্রসঙ্গত, এবারের গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির ভোট হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তবে জেলা পরিষদের ভোট হয়েছে, আর তাতে কলাগ্রাম বুথে এগিয়ে বিজেপি। তবে কি সত্যিই রাজনীতির প্রতি হিংসায় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত কলাগ্রামের পালপাড়া, উঠছে প্রশ্ন?

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments