eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্কুলে নেই স্থায়ী শিক্ষক, পঠন-পাঠন শিকেয় উঠেছে পড়ুয়াদের

স্কুলে নেই স্থায়ী শিক্ষক, পঠন-পাঠন শিকেয় উঠেছে পড়ুয়াদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া : সরকারি এবং সরবারি অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বারবার হোঁচট খেয়েছে। শিক্ষকের অভাবে একাধিক স্কুলে পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে। তবে অতিথি শিক্ষক দিয়ে কোন রকমে স্কুল পড়িচালনা এমন নজির তেমন একটা চোখে পড়ে না। দুজন অতিথি শিক্ষক হচ্ছেন প্রশান্ত কুমার পাল এবং প্রভাত পাল। তবে এমনই ছবি দেখা গেল পাত্রসায়র থানার হামিরপুর স্কুলে । যে স্কুলে রয়েছে মাত্র দুজন অতিথি শিক্ষক। তারাই কোনরকমে পরিচালনা করছেন স্কুলের পঠনপাঠন। বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায় , দুজনের মধ্যে একজন আবার আগামী এপ্রিল মসেই অবসর নেবেন এবং অন্য একজন অবসর নেবেন ২০২০ সালে। অভিভাবকরা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না উনারা অবসর নিলে আগামী দিনে স্কুল চলবে কি করে। অভিভাকদের দাবি খুব দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা হোক স্কুলে। অভিভাবকরা বলেন, অতিথি শিক্ষকদের সাথে স্থানীয় যুবকরা বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে শিক্ষা দান করছেন, নাহলে অনেক আগেই স্কুল বন্ধ হয়ে যেত। ২০১১ সালে সরকারি ভাবে অনুমোদন পেয়েছে স্কুলটি। কিন্তু তারপরে এখনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। স্কুলে রয়েছে মোট ১৮৬ জন ছাত্র ছাত্রী। ছাত্রের সংখ্যা রয়েছে ৯৪ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৯২ জন। যখন ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল মুখী করতে একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন রাজ্য সরকার। তাতে সফলও হয়েছে রাজ্য। তবে শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হতে বসেছে পাত্রসায়রের হামিরপুর জুনিয়র হাইস্কুল মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষকের অভাবে আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন। এছাড়াও স্কুলের পরিকাঠামোও দুর্বল রয়েছে। মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য বসার কোন জায়গা নেই। খোলা আকাশের নীচে বসেই খেতে হয় মিড ডে মিল। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বর্ষাকালে। স্কুলে নেই শিক্ষকদের বসার জায়গাও। তাই বাধ্য হয়েই সিরির ঘড়ে বসতে হয় দুই অতিথি শিক্ষকদের। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল বলেন, আগামী এপ্রিল মাসে একজন অবসর নেবেন। তারপর আমার একার পক্ষে কিভাবে স্কুল চলবে বুঝতে পারছি না। তবে আমি আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। স্কুলের এই সমস্যা নিয়ে পাত্রসায়র সার্কেলের দায়িত্বে থাকা এস আই গণেশ গড়াই এর সাথে যোগায়োগ করা হলে তিনি মৌখিক ভাবে সমস্যার কথা স্বিকার করে নিলেও ক্যামেরার সামনে তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এরপর পাত্রসায়র ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সাথে যোগায়োগ করা হলে তিনিও আমাদের ক্যামেরার সামনে এই সমস্যা নিয়ে কিছু বলতে চাননি । সব মিলিয়ে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আর কতদিন শিক্ষকের অভাবে এভাবে পড়াশুনায় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদের। নাকি দুজন অতিথি শিক্ষকের অবসরের পর বন্ধ হয়ে যাবে স্কুলটি, উঠছে প্রশ্ন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments