নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ গত ২৩শে জুলাই স্কুল চলাকালীন আচমকায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের অসুস্থতা এবং পরে হাসপাতালে সেই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে চলা তীব্র ক্ষোভের মধ্যেই শনিবার থেকে ঘটনার তদন্তে গতি আনলো বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। শনিবার জেলা পুলিশের একটি তদন্তকারী দল বাঁকুড়ার পুয়াবাগান এলাকার ওই বেসরকারী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তদন্তে জান। সেখানে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং স্কুল চত্বর ঘুরে দেখেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ২৩শে জুলাই অর্থাৎ ঘটনার দিনে রূপম পাল নামে ওই স্কুল পড়ুয়া অসুস্থতা বোধ করার ১৫ মিনিটের মধ্যে তার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা সঙ্গে সঙ্গে রূপমের চিকিৎসা শুরু করলেও শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় রূপমের। রূপমের মৃত্যুর পরেই জেলা তথা রাজ্য জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রূপমের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগে মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় মিছিলে নামেন জেলাবাসী। রূপমের পরিবারের তরফেও দাবি করা হয় ক্লাসের এক সহপাঠীর মারধর এবং পরে এক শিক্ষিকা তাকে মারধর করায় রূপম অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এবং উদাসীনতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে রূপমের। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের পাল্টা বক্তব্য, ঘটনার দিন সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের তরফে রূপমকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রূপমের মৃত্যুর তদন্তে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে সম্পূর্ন সহযোগিতা করছে বলে দাবি করা হয়েছে।