সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে ৮৪২ জন গ্রুপ-সি কর্মীর চাকরী ‘বাতিল’ হয়েছে । বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ মেনে মোট ৮৪২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার সেই তালিকায় তৃণমূল কর্মীর নাম ঘিরে চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। সোনামুখীর ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা , নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত দেবাশীষ রায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবই পরিচিত। চাকরি বাতিলের তালিকায় তার নাম রয়েছে ১৯১ নম্বরে । তিনি বড়জোড়ার দধিমুখা হাই স্কুলে কর্মরত ছিলেন । পরে ‘ মিউচ্যুয়েল ট্রান্সফারে ‘ র মাধ্যমে বাড়ির কাছে নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগ দেন ।
বিষয়টি নিয়ে নবাসন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, সরকারিভাবে ওই বিষয়ে তিনি এখনো পর্যন্ত কোনও নির্দেশ পাননি । তবে শনিবার স্কুল খোলা থাকলেও দেবাশীষবাবু স্কুলে আসেননি বলে তিনি জানান ।
অ্যদিকে চাকরিচ্যুত দেবাশীষ রায় কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও তার বাবা পরিমল রায় নিজেকে ‘তৃণমূল কর্মী দাবি করে বলেন , কোথাও কোন টাকা তিনি বা তারা দেননি । এম.সি.এ করা দেবাশীষ সরকারী নিয়ম মেনেই চাকরী পেয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি । প্রয়োজনে ও.এম.আর শীট খতিয়ে দেখা হোক বলেও দাবি তোলেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এবিষয়ে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি বলেন , এরকম তৃণমূল নেতাদের অনেক আত্মীয় স্বজনের চাকরী গেছে । এখন চাকরি চুরির টাকা কালীঘাটে কারা পৌঁছে দিল সে বিষয়টি সামনে আনা উচিৎ।