eaibanglai
Homeএই বাংলায়পদ কার, প্রশ্নে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

পদ কার, প্রশ্নে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

সংবাদদাতা , বাঁকুড়া :- অঞ্চল সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় প্রকাশ্যে চলে এল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন অঞ্চলের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলীয় পাতাকা নিয়ে বিক্ষোভে সরব হলেন খোদ অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান সহ দলীয় কর্মীরা।

আসলে সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুহূর্তে অঞ্চল সভাপতি কে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। স্থানীয় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অতীন্দ্রনাথ চৌধুরীর দাবি, তিনি ২০১১ সাল থেকে পূর্ব নবাসন অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি রয়েছেন। হঠাৎ করে সোনামুখীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছেমতো সুশান্ত বাড়িকে নতুন অঞ্চল সভাপতি করেছেন । আর তাই নিয়েই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদে অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী ও পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েত প্রধান সুনীল রুইদাস সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। অতীন্দ্রনাথবাবু অবিলম্বে দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর দাবি জানান। তাঁর মতে তা না হলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব নবাসনে দলের হার নিশ্চিত। পাশাপাশি পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল রুইদাসের দাবি , অঞ্চল সভাপতি নিয়ে দলে গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। কেউ বুঝতেই পারছে না বর্তমানে কে অঞ্চল সভাপতি।

যদিও সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, অতীন্দ্রনাথবাবুর বয়স (৮০)এর কথা মাথায় রেখে পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের ২১ টি সংসদের সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানের সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে চেয়ারম্যান এবং সুশান্ত বাড়িকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে। এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোন বিষয় নেই।

অন্যদিকে নতুন অঞ্চল সভাপতি হিসেবে যাকে নির্বাচিত করা হয়েছে সেই সুশান্ত বাড়িকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অতীন্দ্রনাথ চৌধুরী কি বলছেন আমি জানি না। তাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। ওনার বয়স হয়েছে, তাই শুধুমাত্র ব্লক নেতৃত্ব নয় জেলা নেতৃত্বের সম্মতিক্রমে আমাকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে।

এদিকে শাসক দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর দাবি এখানে টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আগের যে অঞ্চল সভাপতি ছিলেন, তিনি হয়তো ঠিকঠাক তোলা না দিয়ে নিজে নিয়ে নিয়েছেন। তাই অন্য কাউকে অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে। মানুষের পাশে থাকা এদের কাজ নয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments