eaibanglai
Homeএই বাংলায়জরাজীর্ণ ব্রিজ, কাঁচা রাস্তা, গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হল না বাঁকুড়ার একাধিক গ্রাম

জরাজীর্ণ ব্রিজ, কাঁচা রাস্তা, গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হল না বাঁকুড়ার একাধিক গ্রাম

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হল না বাঁকুড়া জেলার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। কোথায় রাস্তার দাবিতে তো কোথাও ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কট করলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখিয়ে ক্যারাম খেলে প্রশাসনের নিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হলেন তারা।

বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ধবন অঞ্চলের জামথোল গ্রামের বাসিন্দারা ব্রিজের দাবিতে এবার পঞ্চায়েতের ভোট বয়কট করলেন। গ্রামের ব্রিজটির ভগ্নপ্রায় অবস্থা দীর্ঘদিন। কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ অসুস্থ মানুষকে ওই ব্রিজ পারাপার করতে রীতিমতো শারীরিক কষ্ট পোহাতে হয়। এছাড়াও রাতের অন্ধকারে ওই ব্রিজ পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গ্রামের মানুষ। গত বিধানসভা ভোটেও ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কট করেছিল গ্রামবাসী। তারপরেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। তাই এবারও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামের বাসিন্দারা। ভোট বয়কট করে ভোট কেন্দ্রের সামনে ক্যারাম খেলতে দেখা গেল গ্রামের অনেককে। তাদের দাবি সরকার তাদের নিয়ে ক্যারাম খেলছে, তাই ভোট না দিয়ে তারাও ক্যারাম খেলছে। এদিকে ভোট বয়কটের ফলে সকাল থেকেই এলাকার সাঁওতাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর বুথটি শুনসান। ভোটকর্মী, পুলিশ কর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ছাড়া বুথে কারো দেখা মেলেনি। যদিও এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী অভিজিৎ মুরমু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তবে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ নির্বাচন বয়কট করেছেন গ্রামবাসীরা।

ইন্দাস ব্লকের আরখালি গ্রামের মানুষরাও এদিন ভোট দিতে যাননি পাকা রাস্তার দাবিতে। অভিযোগ গ্রামের রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়েছে দীর্ঘদিন। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি ফল। তাই এদিন ভোট দিতে না গিয়ে পাকা রাস্তার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ফলে এদিন সকাল থেকে ইন্দাস ব্লকের ১৪৮ নম্বর বুথে দেখা মেলেনি কোনও ভোটারের। এই আরখালি গ্রামে রয়েছে পঞ্চাশেরও বেশি পরিবার ও প্রায় দুশো ভোটার।

অন্যদিকে গত ৪৫ বছর ধরে গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা না হওয়ায় এবারের পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করল দর্প-নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন রাস্তার উপরে বাঁশ দিয়ে ঘিরে তাঁতে টাঙ্গানো হয় ভোট বয়কটের পোস্টার। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলি গ্রামবাংলার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে প্রচার করলেও তাদের গ্রামের মূল রাস্তাটি পাকা হয়নি আজও। এই গ্রামে ৮০ টিরও বেশি পরিবারের বসবাস। গ্রামে প্রাইমারি স্কুল থাকলেও বর্ষায় কাঁচা রাস্তার জলকাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। পাশাপাশি জলকাদায় যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় গ্রামের বাসিন্দাদেরও।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments