সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:- তৈরির মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ল জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন স্থানীয়রা। ঠিকাদারের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হওয়ার পাশাপাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগসাজসেরও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ঘটনা বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের চুড়ামনিপুর গ্রামের।
সম্প্রতি চুড়ামনিপুর গ্রামের জলসঙ্কট মেটাতে সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে ওভারহেড ট্যাঙ্কে জল তুলে তা জলসরবরাহের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মতো গ্রামের দুর্গামন্দির সংলগ্ন জায়গায় গভীর নলকূপ খনন করে পাশেই এক হাজার লিটারের ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ শুরু হয়। প্রায় সাত ফুট উঁচু পাকা নির্মাণের উপর এক হাজার লিটারের সিন্থেটিক ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ শেষ হয় দিন দশ আগে। পানীয় জল সরবরাহের এমন ব্যবস্থা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। কিন্তু গতকাল সন্ধ্য়ায় সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্ক ভর্তি করতে গিয়েই ঘটে যায় বিপত্তি। হুড়মুড়িয়ে ট্যাঙ্ক সমেত পাকা সাত ফুটের নির্মান ভেঙে পড়ে। সেই সময় গ্রামের অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার জেরে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বড় সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান গ্রামবাসীরা। ওই সময় ট্যাঙ্কের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল চ্যাটার্জী। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার পরই এলাকার বাসিন্দারা ট্যাঙ্কের বরাত পাওয়া ঠিকাদারের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ এই ট্যাঙ্ক নির্মানের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই গোপনীয়তা রেখে চলেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বারবার জানতে চাওয়া সত্বেও কোন প্রকল্পের কত টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তা গ্রামবাসীদের জানায়নি গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগসাজসে ওই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ করাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে।
অন্যদিকে নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান পাখি মল্লের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান পঞ্চদশ পরিকল্পনার এক লক্ষ টাকা ব্যায়ে ওই ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ হয়েছিল। পাশাপাশি ট্যাঙ্ক ভেঙে যাওয়ার দায় তিনি ঠিকাদারের উপর দিয়ে বলেন ওই ঠিকাদারকে আবার ট্যাঙ্কটি ঠিক করে বানিয়ে দিতে বলা হবে।