সঞ্জীব মল্লিক, এই বাংলায়ঃ পণের দাবি নিজের স্ত্রীর উপর পাশবিক আচরণ বর্তমান সমাজে কোন বার্তা বহণ করে। এমনই এক অমানবিক ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। এবার এক গৃহবধূকে দীর্ঘ দিন ধরে পণের জন্য শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠলো স্বামী সহ শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের বড়কালীতলা এলাকার। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা ঐ গৃহবধূ বাঁকুড়া সদর থানায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত বছর ৮ আগষ্ট পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি থানার গড়শিকা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে বাঁকুড়া শহরের বড়কালীতলা এলাকার কৃষ্ণ ধীবরের সঙ্গে বিয়ে হয়। জানা যায় ঐ তরুণীর মা ছোটো বেলাতেই মারা যাওয়ার কারণে বাঁকুড়া শহরের মামা বাড়িতে থাকতে শুরু করে। এখানেই থাকার সময় কৃষ্ণ ধীবরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। প্রথম দিকে শ্বশুর বাড়ির লোক এই বিয়ে মেনে না নিলেও পরে সব মেনে নেয়। নির্যাতিতার ঐ গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের তিন মাস পর থেকে নগদ টাকা, গয়নাগাটি ও মোটর বাইকের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোক চাপ দিতে থাকে। পরে স্বামী কৃষ্ণ ধীবর তাকে তার মামাবাড়ি নিয়ে গিয়ে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখে মারধর করতো বলে তিনি অভিযোগ করেন। এই অবস্থায় তিনি বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।যদিও অভিযুক্ত কৃষ্ণ ধীবর তার স্ত্রীর অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, মামারবাড়ি মুকুটমনিপুরে জমি কিনে বাড়ি তৈরী করে থাকতে চেয়েছিলাম। স্ত্রী সেই কথায় রাজী না হয়ে মিথ্যে অভিযোগ করছে বলে তিনি দাবী করেন। তবে বর্তমান সমাজ যখন দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে সেখানে এধরনের ঘটনাকে কোন মতেই মেনে নেওয়া য়ায় না। আরকতদিন এভাবে মহিলাদের পুরুষদের হাতে প্রহৃত হতে হবে সেই প্রশ্নটাই আজ ঘুড়পাক খাচ্ছে সকলের মনে। তবে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।