নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বাঁকুড়ার রানীবাঁধ থানার মল্লিকডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব মাহাতোর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বীরখাম গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা মাহাতোর। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ওই দম্পতির কোনও সন্তান না হওয়ায় ফের বীরখাম গ্রামেরই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে বাসুদেব মাহাতো নামে ওই ব্যক্তি। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীর আট দিনের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল অঘটন। রবিবার নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাসুদেব হাজরার প্রথম স্ত্রী প্রতিমা মাহাতোর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে রানীবাঁধ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই তা গ্রামে ফিরিয়ে এনে সৎকার করে দেওয়ার কথা জানায়। কিন্তু এলাকাবাসীরা পুলিশের বিপক্ষে গিয়ে পাল্টা পুলিশকে চাপ দিয়ে ফের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের দাবি করে। তাদের অভিযোগ, ওই মহিলার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, কিন্তু পুলিশ দায় সারা করে আত্মহত্যার ঘটনা বলে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে গ্রামে বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়।