eaibanglai
Homeএই বাংলায়মাদকাসক্ত মুক্ত সমাজ গড়তে বাঁকুড়ায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

মাদকাসক্ত মুক্ত সমাজ গড়তে বাঁকুড়ায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভা

সৌমি মন্ডল, বাঁকুড়া :- বেকারত্বের হতাশা যখন যুব সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে তখন আর এক ভয়াবহ মরণব্যাধি তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলছে। আজকের যুব সমাজের একটা বড় অংশের বেঁচে থাকার অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, মদ, আফিম, হেরোইন, কোকেন, প্যাথেডিন, বিভিন্ন ধরনের ঘুমের ওষুধের মত মারাত্মক মাদক দ্রব্যের পাশাপাশি জুতোর আঠা। এইসব মাদক দ্রব্য গ্রহণ করে যুবসমাজ ধীরে ধীরে নিজেদের অজান্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে ফেলে। তাকেই তারা পরম আত্মীয় বলে মনে করে।

সমাজতাত্বিকদের মতে বেকারত্বের পাশাপাশি মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণগুলো হলো পারিবারিক কলহ, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা ইত্যাদি। বর্তমান যুবসমাজের সামনে অনুকরণ করা, অনুসরণ করার মত কোনো আদর্শ মানুষ নাই। চোখের সামনে তারা দেখছে রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ দুর্নীতির পাঁকে ডুবে আছে। এরসাথে আছে মাদকের সহজলভ্যতা। মাদক ব্যবসা যথেষ্ট লাভজনক হওয়ায় সহজেই দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে যুব সমাজ আজ চরম সমস্যায়। যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৭ শে অক্টোবর নেহরু যুব কেন্দ্র বাঁকুড়া শাখার উদ্যোগে ও গদারহার অগ্রগতি সোসাইটির পরিচালনায় গদারহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। লক্ষ্য মাদকাসক্ত মুক্ত সমাজ গড়া। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। নিজ নিজ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারা যুব সমাজের মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেন। সমাজকে মাদকাসক্ত মুক্ত করতে কী কী সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বাঁকুড়া জেলার খাতড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০ জন পড়ুয়া ও যুবক এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা নেহেরু যুব কেন্দ্রের আধিকারিক অন্বেষা ভট্টাচার্য্য, বিশিষ্ট সমাজকর্মী মহাদেব দুলে, চিরঞ্জিত মুখার্জি, গদারহার অগ্রগতি সোসাইটির সম্পাদক তাপস কুমার ঘোষ সহ অন্যান্যরা। এদিনের এই অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে গদারহার এলাকায় মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্বেষা দেবী বললেন, সমাজ তথা যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হলে সমস্ত স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজ নিজ সন্তানের প্রতি স্নেহের দৃষ্টিতে নজর দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের তিনি আহ্বান জানান।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments