eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিষ্ণুপুর মেলায় বাংলাদেশি শিল্পীদের অনুষ্ঠান ঘিরে তুমুল বিতর্ক

বিষ্ণুপুর মেলায় বাংলাদেশি শিল্পীদের অনুষ্ঠান ঘিরে তুমুল বিতর্ক

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– ২০২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ফের সাম্প্রদায়িক হিংসা বা হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে সংবাদ শিরোনামে এখন বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে ৩৮তম বিষ্ণুপুর মেলায় বাংলাদেশি শিল্পীদের অনুষ্ঠান ঘিরে তুমুল বিতর্ক। দ্বিচারিতার প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি ও কংগ্রেস। অসন্তোষ প্রকাশ শহরবাসীর একাংশের। চাপের মুখে পড়ে অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা জেলা প্রশাসনের।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে শুরু হয়েছে ৩৮তম বিষ্ণুপুর মেলা, চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পর্যটন, সংস্কৃতি ও হস্তশিল্পকে কেন্দ্র করে এই মেলার আয়োজন করেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন, ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বিষ্ণুপুর মেলা ও উৎসব কমিটি। মেলায় প্রতিদিনই নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শিল্পীদের নাটক ও নাটকের গানের অনুষ্ঠান। আগামী ২৯ ডিসেম্বর রামানন্দ মঞ্চে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের হোর্ডিং বিষ্ণুপুর এসডিও অফিসের গেটে লাগতেই শুরু হয় বিতর্ক।

ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর এসডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হয়। প্রতিবাদে নামেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বও। পাশাপাশি সাধারণ বিষ্ণুপুরবাসীরাও সরব হন। শহরবাসীর একাংশ প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের উপর একের পর এক নির্যাতন, খুন এবং জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ সামনে আসছে, তখন সেই বাংলাদেশকেই কীভাবে সরকারি মঞ্চে জায়গা দেওয়া হচ্ছে ? এটাই কি হিন্দুদের প্রতি স্পষ্ট দ্বিচারিতা নয়?

এদিকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক বাংলাদেশি শিল্পীদের ওই অনুষ্ঠান বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু অভিযোগ, অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণার পরেও বিষ্ণুপুর এসডিও অফিসের গেটে এখনও সেই বিতর্কিত হোর্ডিং ঝুলছে। এমনকি বাংলাদেশের অনুষ্ঠানের নামও এখনো সরকারি ভাবে কেটে ফেলা হয়নি। ফলে জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের বাতিলের ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি সাধারণের মধ্যে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments