eaibanglai
Homeএই বাংলায়এমটিপিএসে'র কন্টাক্টরস ওয়ার্কমেন ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে মহতী উদ্যোগ

এমটিপিএসে’র কন্টাক্টরস ওয়ার্কমেন ইউনিয়নের বার্ষিক সম্মেলনে মহতী উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- সংগঠনের বার্ষিক সম্মেলনে মহতী উদ্যোগ নিল মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের কন্টাক্টরস ওয়ার্কমেন ইউনিয়ন, দুর্লভপুর। বৃহস্পতিবার সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশেষত গরমের মরশুমে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্ত সঙ্কট তীব্রতর হয়ে ওঠে। তাই গরম পড়ার আগে এই উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সজল বোস । গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকর দূর করতে সংগঠনগুলিকে এইভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিন দুর্লভপুর প্রজেক্ট ফুটবল ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল রক্ত শিবিরের। যেখানে মোট ১২৪ জন রক্ত দাতা রক্ত দান করেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন ছিলেন নতুন রক্তদাতা। তিনটি বিরল গ্রুপের রক্ত দান করেন সংগঠনের সদস্যরা। রক্তদান শিবিরটি পরিচালনা করে সার্বিক সহযোগিতা করে দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিল ও দুর্গাপুর মহকুমা হসপিটাল ব্লাড সেন্টার।

এদিনের এই রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন এম টি পি এস এর প্রজেক্ট অধিকর্তা প্রদ্যুম প্রসাদ শা। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রাম কুমার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নীরাজ কুমার সিনহা, ডাক্তার ডি.কে মন্ডল, দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সজল বোস, যুগ্ম সম্পাদক ডাক্তার এস এস যাদব, দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের কার্যকারী সদস্য আফতাব হোসেন, মিতা গাঙ্গুলী সহ বিশিষ্টজনেরা।

এমটিপি এস এর প্রজেক্ট হেড প্রদ্যুম প্রসাদ শা এই মহতি উদ্যোগের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানান। মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশন কন্ট্রাক্টরস ওয়ার্কম্যান ইউনিয়নের সভাপতি হারাধন দত্ত, সহ-সভাপতি শান্তিময় দাস ও সম্পাদক প্রণব কর্মকার উপস্থিত সকল অতিথিবর্গ ও রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন।

মেজিয়া থার্মাল পাওয়ার স্টেশন কন্ট্রাক্টরস ওয়ার্কম্যান ইউনিয়নকে এই মহতী উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সজল বোস বেলেন, “এই মুহূর্তে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের সংকট রয়েছে। আসন্ন গরমের মরশুমে তা আরো তীব্রতর হবে। আর ঠিক তখনই এম টি পি এস কন্ট্রাক্টরস ওয়ার্কম্যান ইউনিয়নের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসা দাবি রাখে। ১২৪ ইউনিট রক্তের যোগান অনেক চিকিৎসারত রোগীর ও রোগীর পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে। “

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments