তাপস মাল, বাঁকুড়া:- সারাদেশের সাথে সাথে ৭১ তম সর্বভারতীয় সমবায় সপ্তাহ উদযাপিত হল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানকানালিতে। ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে সমবায় সপ্তাহ পালনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক সমবায় সমিতির তরফে। সমবায় সমিতি হল জনগণ মালিকানাধীন ও পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক অরাজনৈতিক সংস্থা।
গ্রামীণ এলাকায় কৃষকের উন্নয়নের মাধ্যমে সমবায়কে শক্তিশালীকরা,এলাকার সামাজিক – সাংস্কৃতিক – আর্থসামাজিক মানোন্নয়ন প্রভৃতি উদ্যেশ্যে এবং পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিবস কে সামনে রেখে ১৯৫৩ সালে দেশ জুড়ে সমবায় সপ্তাহ পালনের কর্মসূচী শুরু হয়। প্রতিবছর সমবায় সপ্তাহ পালনের একটি নির্দিষ্ট থিম রাখা হয়, এ বছর ৭১ তম বর্ষে সমাবায় সপ্তাহের থিম ‘বিকশিত ভারত গঠনে সমবায়ের ভূমিকা।’ বাঁকুড়ার মানকানালির খিরাইজুড়ি মালিনদাসি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির সৌজন্যে হওয়া শুক্রবারের এই সমবায় সপ্তাহ উদযাপনের মূল ভাবনা রাখা হয় ‘ উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও সুশাসন।’ সমবায় সপ্তাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টদের বরণ করে নেওয়া এবং উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এদিনের কর্মসূচীটি শুরু হয়।
বাঁকুড়ার মানকানালির খিরাইজুড়ি মালিনদাসি সমবায় সমিতির কার্যালয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের শাখা প্রবন্ধক, জেলা অফিসার, জেলা উদ্যান পালান বিভাগের অফিসারসহ একাধিক অফিসার ও সমবায় সমিতির সদস্য সদস্যাবৃন্দ। এদিনের এই মঞ্চ থেকে এলাকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি,সঞ্চয়,বন্টন, উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি,কৌশল, উন্নত প্রযুক্তি প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে সমবায় সমিতির সদস্যদের সামনে আলোকপাত করেন বিভাগীয় আফিসাররা।
তবে এদিনের এই সমবায় সপ্তাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষকরা বিভাগীয় আফিসার দের সামনে নিজেদের কৃষির প্রয়োজনে রোটার ও হারভেস্টর এর দাবি তোলে। এক্ষেত্রে তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বিষয়ে সমবায় সমিতিতে কোনও ইলেকট্রেড বোর্ড না থাকার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন সমবায় ব্যাংকের অফিসাররা। সমবায় সমিতিতে নতুন করে কৃষক যোগদানের যে প্রতিবন্ধকতা সে ক্ষেত্রেও তারা একই সাফাই দিয়েছেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি।