সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- “সারা রাজ্যটাই অস্ত্র ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে”। তালডাংরায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত আগামী ১৩ নভেম্বর তালডাংরায় উপনির্বাচন। এবারের উপনির্বাচনে অন্যান্য রায় চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। রবিবার ছিল শেষ মুহূর্তের প্রচার। এদিন প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে তালডাংরার পাশাপাশি সিমলাপালেও প্রচার সারেন বিজেপি নেতা। সেখানেই সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগরে প্রচার সভায় দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “লুঠপাট, খুন-খারাপি, মানুষ বরদাস্ত করবে না। সারা রাজ্যটাই এখন অস্ত্র ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছে। এমনকী বিহার-উত্তরপ্রদেশের দুষ্কৃতীরা এখানে কারখানা খুলেছে। তাদের সব থেকে ‘বড় শেল্টার’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” পাশাপাশি ওতি প্রাসঙ্গিক আর জি কর প্রসঙ্গও তুলেও মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন তিনি। তিনি বলেন, “দুর্গা ভেবে একজন মহিলাকে মানুষ মুখ্যমন্ত্রী করেছিল, তারপরেও জাস্টিসের দাবিতে কেন মহিলাদের রাত জাগতে হচ্ছে ? এর ফল ২৬-শের ভোটে ভুগতে হবে।” একই সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন কেন সফল হল না তার জবাব তাদেরকেই দিতে হবে বলে এদিন দাবি করেন তিনি। এদিন কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়েও সরব হন তিনি। তিনি বলেন, “গরিব মানুষের বাড়ি করে দেওয়ার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা পাঠানো হচ্ছে। ৭২ না ৭৪ লক্ষ লোকের টাকা এসেছে। সেই টাকা কোথায় গেল, কেউ জানে না। কেন্দ্র যত টাকা দিয়েছে, লোকের যদি বাড়ি হতো, তাহলে আমাদের এই জেলায় জঙ্গলমহলে একটাও কাঁচা বাড়ি থাকত না।”
অন্যদিকে প্রচারে বেরিয়ে ‘চায় পে-চর্চা’তে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন লক্ষীসাগরের স্থানীয় মানুষ ও মহিলাদের সঙ্গেও কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। এদিনের এই কর্মসূচীতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল সহ স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা।