eaibanglai
Homeএই বাংলায়সোমবার বিয়ে, বাড়ি ফেরা হল না বাঁকুড়ার পুলিশ কর্মীর

সোমবার বিয়ে, বাড়ি ফেরা হল না বাঁকুড়ার পুলিশ কর্মীর

সংবাদদাতা,বাকুড়ঃ- দিন তিনেক পরেই বিয়ে। বাড়িতে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। শুরু হয়ে গেছে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। ছুটি নিয়ে বাঁকুড়ায় বাড়ি ফেরার কথা ছিল হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মরত পুলিশ কর্মী হিমাংশু মাঝির। ছেলে বাড়ি না ফিরলেও এল দুঃসংবাদ।

বহস্পতিবার রাতে ইমামবাড়া হাসপাতালের পুলিশ লকআপে বন্দি রোগীদের পাহারার দায়িত্বে থাকাকালীন নিজের ‘সার্ভিস রিভলবার’ থেকে মাথায় গুলি চালিয়ে দেন তিনি। তড়িঘড়ি ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিশেষ করিডর দিয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

জানা গেছে ওই পুলিশকর্মী চন্দননগরেরই পুলিশ ব্যারাকে থাকতেন। বর্তমানে পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত। এদিন বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের বড় আড়াল গ্রামে হিমাংশু মাঝির বাড়িতে গিয়ে জানা যায় দুঃসংবাদ পেয়ে তার বাবা মা ও গ্রামের লোকজন কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। গ্রামের ও পরিবারের লোকেরা হতবাক। কেন এমন ঘটনা ঘটাল হিমাংশু বুঝতে পারছেন না কেউ। হিমাংশুর এক দাদা জানান ভাইয়ের সাথে মাস তিনেক আগে কথা হয়েছিল। বাড়িতেও কোনো অশান্তি হয়েছে বলে জানা নেই। তাঁর মতে এত ব্রলিয়ান্ট, স্মার্ট ছেলে কেন এটা করল ভেবে পাচ্ছেন না।

হীড়বাঁধেরই একটি গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়েছিল, আগামী সোমবার বিয়ে, তার আগেই এই ঘটনার পিছনে কারণ কি বুঝে উঠতে পারছেননা পাড়া, প্রতিবেশী থেকে বন্ধু বান্ধব কেউই। সমস্ত প্রস্তুতির মাঝে এই দুঃসংবাদ সব এলোমেলো করে দিয়েছে।

পরিবার ও গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে ওই পুলিশ কর্মীর আর এক ভাই সিআরপিএফে কর্মরত আছেন। বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, বৃদ্ধ ঠাকুর্দা ও ঠাকুমা রয়েছেন।

কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা তা বুঝতে পারছেন না হিমাংশু সহকর্মী ও পুলিশ কর্মী আধিকারিকেরা। এর নেপথ্যে অবসাদ, না অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments