সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– এক সময় গ্রাম বাংলায় যে কোনো উৎসব পার্বণে বিনোদনের একমাত্র অবলম্বন ছিল যাত্রাপালা। খোলা মঞ্চে আলোর ঝলকানির মধ্যে নানা চরিত্রের আসা যাওয়া নিয়ে গল্প বলার এই মাধ্য়ম যথেষ্ঠ জনপ্রিয় ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির ধারক বাহক যাত্রা পালা এখন বিলুপ্তির পথে।
এবার সেই যাত্রাকে ফিরিয়ে আনার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন বাঁকুড়ার তালডাংরার বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহ বাবু। গত শনিবার সিমলাপাল রাজবাড়ি সংলগ্ন ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ সূচনা হলো পাঁচ দিনের যাত্রা উৎসবের। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভ সূচনা করেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।
সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন ‘চেষ্টা করা হবে গ্রামীণ যাত্রাটা যেন আরও বৃহত্তর আকারে শুরু করা যায়,তাতে গ্রামে গ্রামে মানুষের একাত্মবোধ বাড়বে এবং মানুষে-মানুষে একটা সুসম্পর্ক গঠন হবে। আগামী দিনে ঘুমিয়ে থাকা এই শিল্পের আরো অগ্রগতি ঘটবে’।
তালডাংরার বিধায়ক ফাল্গুনী সিংহ বাবু বলেন ‘হারিয়ে যাওয়া গৌরবকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। যাত্রাশিল্প যেটা এলাকার বিনোদনের একটা অন্যতম অঙ্গ ছিল আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বাংলার এই সংস্কৃতিতে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেই এই শিল্পের পুনরুদ্ধার সম্ভব। তাই এই আয়োজন’।
কালক্রমে সময়ের গহ্বরে বিলীন হয়ে যাওয়া যাত্রা শিল্পকে পুনরুদ্ধার করার এ যেন এক অভিনব প্রয়াস। এখন সরকারি উদ্যোগে বাঙালির এই শিল্প সংস্কৃতির পুনর্জীবন সম্ভব কিনা সেটাই দেখার।





