সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– পহেলগাঁও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের রেশ এখন দেশজুড়ে। দেশ তথা বিশ্ব জুড়া চলছে জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা। এরই মধ্যে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়ে পহেলগাঁও আতঙ্ক নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন সস্ত্রীক তপন রক্ষিত। ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ২৪ ঘণ্টা আগেও পহেলগাঁও ছিলেন তাঁরা। জানালেন হাড় হিম করা তাঁদের সেই অভিজ্ঞতার কথা।
বাঁকুড়ার ঝান্টিপাহাড়ির বাসিন্দা তপন রক্ষিত গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রীকে নিয়ে ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান ওই জঙ্গি হামলার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেও অর্থাৎ ২১ তারিখ পহেলগাঁওয়ে ছিলেন তাঁরা। যদিও পাহাড়ে উঠতে হয় বলে যেখানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল সেই বৈসরণ ভ্যালি যাননি তাঁরা। তবে পহেলগাঁওয়ে খুব আনন্দ করেছেন। তখনও ভাবতে পারেনি যে সেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে। রক্তাক্ত হয়ে যাবে বৈসরণ ভ্যালি। ২২ তারিখ দুধপাত্রি থেকে শ্রীনগর ফেরার পথে ওই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা শোনেন তাঁরা। তাপনবাবু জানান তারপরই বদলে যায় চারিদিক। সবকিছু বন্ধ হতে শুরু করে। চারিদিক সেনা জওয়ানে ছয়লাপ হয়ে যায়। তাঁরা দ্রুত হোটেলে ফেরেন কিন্তু তারপর হটেলে বন্দি হয়ে কাটাতে হয়। তপনবাবু এও জানান ওই সময় পর্যটকদের এতটাই ভিড় ছিল কাশ্মীরের সমস্ত হোটেল পর্যটকে ভর্তি ছিল। এদিকে তাঁদের ট্রেনে ফারার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কয়েকগুন টাকা বেশি খরচ করে প্নেনের টিকিট পান তাঁরা ও ভয় ও আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
অন্যদিকে নিরাপত্তার বিষয়ে বলতে গিয়ে তপনবাবু জানান, শ্রীনগরে ৫০ মিটার অন্তর অন্তর সেনা জওয়ানদের দেখা মিললেও পহেলগাঁওতে সেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়েনি তাঁদের।
তবে কাশ্মীর যে সত্যি ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর সে বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই তপনবাবুর। দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম বাড়ি ফিরে আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের বলবো একবার ঘুরে এসো অপূর্ব সুন্দর কাশ্মীরে। কিন্তু যা ঘটলো তাতে করে এখন বলবো আর যেখানে খুশি যাও কাশ্মীরে যেও না।”





