eaibanglai
Homeএই বাংলায়কংসাবতী জলাধারের রাস্তা জুড়ে রঙিন আলপনা

কংসাবতী জলাধারের রাস্তা জুড়ে রঙিন আলপনা

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম লাল মাটির দেশে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর। জল,জঙ্গল, পাহাড়, অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ কংসাবতী জলাধার। এটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম মাটির বাঁধ, যা মূলত সেচ ও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মিত হয়েছে। জল,জঙ্গল, পাহাড়ের মধ্যে এই বাঁধ প্রকৃতিকে আরও সুন্দরী করে তুলেছে। তাই বাঁকুড়ার রানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মুকুটমণিপুর।

এবার মুকুটমণিপুরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কংসাবতী জলাধারের পাড় ধরে চলা রাস্তার ওপর আঁকা হচ্ছে রঙিন আলপনা বা পথচিত্র। এখানকার প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং পর্যটনের সঙ্গে জড়িত মাছ, হরিণ, নৌকা, ময়ূর, নৌকা এমন সব বিষয় নিয়ে এই আলপনা আঁকা হচ্ছে। স্থানীয় শিল্পীদের হাতের স্পর্শে নৌকা, ময়ূর, হরিণ, মাছ সহ এলাকার বিশেষত্ব সব ছবি হয়ে ফুটে উঠছে রঙের ছোঁয়ায়। উৎসবের মরশুম শেষ হলেই বড়দিন থেকে শুরু হয়ে যাবে পর্যটন মরশুম। তার আগে ছবি দিয়ে পথ সাজাতে মেতে উঠেছেন শিল্পী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সবাই।

এই পথচিত্র আঁকার প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে। ২০১৭ সালেই মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর সফরে গিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের কাজ দেখেন এবং প্রশংসা করেন। কয়েক বছর ধরে আঁকা আলপনা সময়ের সঙ্গে মুছে গিয়েছিল। এবার আবার নতুন করে জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩৩০ মিটার রাস্তার ওপর পথচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছে। খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, উন্নয়ন পর্ষদের তহবিল থেকে স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে পুরো কাজটি করানো হচ্ছে। মোট ১৫ জন শিল্পী দল বেঁধে এই কাজ করছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পথচিত্রের কাজ শেষ হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

এদিকে হালকা শীতের আমেজের সঙ্গে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে মুকুটমণিপুরে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। তাঁদের অনেকেই থমকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। পাশাপাশি এই উদ্যোগের প্রশংসাও করছেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments