সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- নিত্যদিন দেরিতে ট্রেন চলাচল নিয়ে ক্ষোভের জেরে প্য়াসেঞ্জার ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভে সরব হলেন নিত্যযাত্রীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে অবরোধ। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন অন্য়ান্য যাত্রীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা শাখার বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনে।
প্রসঙ্গত এই রেলপথের উপর নির্ভরশীল বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশের কর্মজীবি মানুষজন। প্রতিদিন ট্রেনে করেই তাঁরা কর্মস্থলে পৌঁছন। রেলের এই নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ সম্প্রতি খড়্গপুর-আদ্রা শাখায় মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিকে দাঁড় করিয়ে রেখে আগে ছাড়া হয় মালগাড়িকে। ফলে কোনোরকম টাইম টেবিলের তোয়াক্কা না করে প্রতিদিনই প্রায় ২-৩ ঘণ্টা দেরিতে চলে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি। যার জেরে নিত্যযাত্রীরা প্রতিদিনই কর্মস্থলে ঠিক সময়ে পৌছতে পারেন না। যাত্রীরাও নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনা। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি নিত্য যাত্রীদের।
মঙ্গলবার সকালেও অন্য দিনের মতো খড়্গপুর-আসানসোল প্যাসেঞ্জার ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় বেশ কিছুটা দেরিতে ঝাঁটিপাহাড়ি স্টেশনে পৌঁছোলে নিত্যযাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ও রেল লাইনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। এর ফলে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে প্রায় দু’ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা। এবং দুপুর ১২ টার পর ওই লাইনে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।





