শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের দেউচা গ্রামের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অঙ্কুশ মাজি। তার কীর্তি মুগ্ধ করে দিয়েছে সকলকে৷ মাত্র 9 বছর বয়সে 60 টি আবিষ্কারকের নাম মাত্র 1 মিনিটে ঝড়ের গতিতে বলে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস এবং ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে স্থান অর্জন করেছিল। এই খুদেই আবার এবছর 100 টি দেশের রাজধানীর নাম দ্রুততম বলে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডসে স্থান অর্জন করেছে। শুধু তাই নয় নাচ, গান, কবিতা-আবৃত্তি, ছবি আঁকাতেও যথেষ্ট পটু 10 বছরের অঙ্কুশ ৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কার ও সার্টিফিকেটে ভরতি হয়েছে আলমারি ৷
বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের দেউচা গ্রামে বাড়ি অঙ্কুশ মাজির ৷ এই খুদে পড়ুয়ার বাবা সন্দীপ মাজি পেশায় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী ৷ তিনি পুরুলিয়ার সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত রয়েছেন ৷ অঙ্কুশের মা টুম্পা মাজি গৃহবধূ ৷ সন্দীপ মাজি কর্মসূত্রে তাঁরা সাঁওতালডিহিতে থাকেন ৷ এত অল্প বয়সে এতকিছু বিষয় শিখল কী করে অঙ্কুশ ? তার বাবা-মা জানান, ছোট থেকেই মনে রাখার দক্ষতা অঙ্কুশের অনেক বেশি ৷ কোনও বিষয় তাকে একবার বলে দিলেই তা মনে থাকে অঙ্কুশের ৷
অঙ্কুশের বাবা-মা জানতে পারেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নানান রেকর্ড তৈরি করছে ৷ তা দেখে তাঁরাও ছেলের এই প্রতিভাকে তুলে ধরার জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে এবং ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে অঙ্কুশের নাম অনলাইনে রেজিস্ট্রার করান ৷ এর পর অঙ্কুশের প্রতিভা যাচাই করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ৷ দুই সংস্থার বিচারে যোগ্যতার মাপকাঠি পার করে অঙ্কুশ মাজি ৷ সম্প্রতি তাঁদের বাড়ির ঠিকানায় অঙ্কুশের নামে পৌঁছয় একটি সার্টিফিকেট, মেডেল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ৷
ছেলের এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি অঙ্কুশের বাবা-মা ৷ তার পরিবারের বাকি সদস্যরাও খুবই আনন্দিত ৷ অঙ্কুশের গ্রামের বাড়িতে তাকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে সকলে ৷ পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়, সকলে বাড়ি এসে অঙ্কুশকে অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছেন ৷