নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁকুড়া:- সবকিছু থেকেও নেই ৷ বিদ্যালয় আছে, শিক্ষক শিক্ষিকাও আছে তিন জন ৷ তবে প্রায় দিন অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আর তাতেই লাটে উঠেছে পঠন-পাঠন। বিদ্যালয়ে দিন দিন কমতে শুরু করেছে পড়ুয়ার সংখ্যা ৷ পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০ থেকে একেবারে ১৬ ঠেকেছে । শিক্ষক- শিক্ষিকাদের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে এক প্রকার বন্ধের মুখে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় ব্লকের মানাচর প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷
বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া ব্লকের মানাচলের অবস্থান একেবারে দামোদরের গর্ভে। নদী ডিঙিয়ে যেতে হয় মানাচরে। দামোদরের বুকে জেগে ওঠা এই চরে এক সময় বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছিল অনেক। সময়ের সাথে সাথে সেই সংখ্যা কমতে কমতে এখন ২০, ২৫ টি পরিবারের ঠেকেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও কমেছে পড়ুয়ার সংখ্যা। তবে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ তে। মাঝেমধ্যে ২-৪ জন পড়ুয়া স্কুলে আসে বাকি দিনগুলি মোটামুটি ক্লাসরুম শূন্যই থাকে।
অভিযোগ,শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে আসার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না । ইচ্ছামতো আসেন আবার বন্ধ করে চলেও যান। প্রায়দিনই স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষক। আর তাতেই একেবারে শিখেয় উঠেছে পড়াশোনা। অনেকেই এই স্কুল ছাড়িয়ে শিশুদের ভর্তি করছেন বেসরকারি স্কুলে। তবে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে না আসার ক্ষেত্রে যোগাযোগ ব্যাবস্থাকেই দায়ি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি স্থলপথে মানাচরের সাথে বহির্বিশ্বের কোন যোগাযোগ নেই। জলপথেও নেই কোনো ফেরি সার্ভিস। স্কুল যাতাযাতে নির্ভর করতে হয় মানাচরের মানুষদের ব্যক্তিগত ডিঙির উপর। এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শ জগবন্ধু ব্যানার্জী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।