সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- জলের বালতিতে উঁকি মারছে স্বয়ং মহামায়ার চোখ। বাসন্তী পুজোর মহানবমীতে মায়ের চমৎকার। দেখতে ভিড় জমালেন এলাকাসীরা। চলল পুজো অর্চনা। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি মনের ভুল। জোর চর্চা বাঁকুড়ার সারেঙ্গার রাজাবাজার এলাকায়।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা রাজা বাজার এলাকার বাসিন্দা তারক নাথ মিশ্র। বাসন্তী পুজোর নবমীর দিন কুয়ো থেকে এক বালতি জল তুলে রেখেছিলেন বাড়ির প্রাত্যহিক কাজের জন্য। কিছুক্ষণ পর তারকবাবুর স্ত্রী লক্ষ্য করেন জলের বালতিতে তিনটি যেন চোখ আঁকা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি মেয়ে চায়না মিশ্র কে ডেকে দেখান। তিনিও দেখা অবাক হন। এরপর পাড়া প্রতিবেশীরাও বালতির জলে চোখ দেখে আবাক হন। ক্রমে ঘটনার কথা এলাকায় রটে যায়। এরপরই মহামায়ার চোখ দেখতে জমতে থাকে ভীড়। কেউ কেউ ভক্তি ভরে পুজোয় করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে বিষয়টি স্যোসাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়ে যায়। খবর যায় সারেঙ্গা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যদের কাছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পেশায় শিক্ষক ও সারেঙ্গা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেন এটা কোন অলৌকিক ঘটনা নয়, জলের মধ্যে ছত্রাকের কারণে ওই আকার তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ওই জল থেকে কিছুটা জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
অন্যদিকে তরুণবাবুর কাছ থেকে ছত্রাকের বিষয়ে জানতে পেরে বালতির জল ফেলে দেন মিশ্র পরিবারের লোকজন। এখন ওই বালতির জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট কি বলে সেই অপেক্ষায় এলাকাবাসী।





