শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- পর্বতারোহীর কাছে শারীরিক ফিটনেস হচ্ছে আসল সম্পদ। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে সেই কথাই প্রমাণ করলেন বছর ৬৫ এর বসন্ত সিংহ রায়। এভারেস্ট জয়ী এই বাঙালি পর্বতারোহী শুশুনিয়া পাহাড়ে দিলেন রক ক্লাইম্বিং এর শিক্ষা।
এই মুহূর্তে শুশুনিয়া পাহাড়ে চলছে, কৃষ্ণনগরের মাউন্টেনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা আয়োজিত ৩৯ তম রক ক্লাইমম্বিং কোর্স। প্রায় ৪২ জন ট্রেনি এবং ২৭ জন অফিসিয়াল মিলে পাহাড়ের উপরে চলছে পাহাড় চড়া, গ্রাপ্লিং, হুকিং করা এবং নট তৈরি করার প্রশিক্ষন। তবে চারদিন ব্যাপী চলা এই কোর্সে শুধুমাত্র পাহাড়ে ওঠার প্রশিক্ষনই নয়, দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব হয়ে ওঠারও পাঠ। কারণ পর্বতারোহণে একদিকে যেমন সুষ্ঠু শরীর ও প্রচন্ড দৈহিক পরিশ্রমের প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মবোধ হওয়া। সেই কারণে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতাও এই কোর্সের একটি অঙ্গ। এমনটাই জানালেন প্রশিক্ষক তথা এভারেস্ট জয়ী বাঙালি পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায়।
অন্যদিকে এই পর্বতারোহণের ক্ষেত্রে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ বছরের পর বছর রাজ্যের পর্বতারোহীরা এখানেই প্রশিক্ষণ নেন আবার পাহাড় ও প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে শেখেন। সেই কথা মনে রেখেই বসন্তবাবু এদিন বলেন, শুশুনিয়া পাহাড় পর্বত আরোহীদের কাছে আঁতুড় ঘর। শুশুনিয়া পাহাড়ের কথা মনে রেখে নিজের ট্রেইনি জীবনের স্মৃতিচারণও করেন তিনি। বাঙালি পর্বতারোহী বলেন, শুশুনিয়া আগের থেকে অনেকটা সুন্দর হয়েছে। লাগানো হয়েছে একাধিক গাছ-গাছালি। কমেছে প্লাস্টিক, করা হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পাশাপাশি সহজ হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থাও।





