eaibanglai
Homeএই বাংলায়'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই' লেখা টি শার্ট পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রতিবাদ চাকরিহারা পরীক্ষার্থীর

‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’ লেখা টি শার্ট পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রতিবাদ চাকরিহারা পরীক্ষার্থীর

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– রবিবার ছিল এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। বেলা ১.৩০ নাগাদ শেষ হয় পরীক্ষা। এদিন কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই রাজ্য জুড়ে সম্পন্ন হয়েছে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।

অন্যদিকে এদিন বাঁকুড়ার খ্রিস্টান কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা চাকরিহারা শিক্ষিকা পরীক্ষার্থী শর্মিষ্ঠা দুয়ারী ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’ লেখা কালো টি শার্ট পরে প্রদিবাদের বার্তা দিয়ে নজর কাড়লেন । তিনি বলেন, ” সরকারের উপর ভরসা করাটা এখন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও পরীক্ষা যখন নিচ্ছে পরীক্ষা তো দিতেই হবে। এটাতো আমাদের চাকরি বাঁচানোর লড়াই। চাকরি বাঁচানোর জন্য যে পদ্ধতী অবলম্বন করা হচ্ছে মেধা বা পরীক্ষা, সেটাতো আমরা করবোই। আমরা তো টাকা পয়সা দিয়ে পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য়তা রাখিনি। আমাদের যোগ্যতা বুদ্ধি আর মেধা। আমারা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো। যোগ্যদের শিরদাঁড়া এখনও সোজা রয়েছে, সেই কারণেই আজকে শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’ লেখা টিশার্ট পড়ে পরীক্ষা দিতে আসা। “

এদিন বাঁকুড়া জেলায় মোট ২৫ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১১ হাজারের কিছু বেশী পরীক্ষার্থী পরিক্ষা দেন। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে তবেই ঢোকানো হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। শুধুমাত্র স্বচ্ছ জলের বোতল এবং অ্যাডমিট কার্ড, স্বচ্ছ কলম নিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুমতি মিলেছিল পরীক্ষার্থীদের। কেউ অস্বচ্ছ জিনিস নিয়ে এলে সেগুলি জমা রেখে পরিবর্তে স্বচ্ছ কলম দেওয়া হয়। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে কোনও ত্রুটি রাখতে চায়নি এসএসসি। টুকলি বা প্রশ্নফাঁসের মতো অভিযোগ যাতে উঠতে না-পারে, তার জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা যে কোনও প্রকার ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

গত ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। সে দিনের তুলনায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এবং কেন্দ্রের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখা হয়নি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments