eaibanglai
Homeএই বাংলায়পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসে নথিতে সই প্রধানের স্বামীর, বিতর্ক

পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসে নথিতে সই প্রধানের স্বামীর, বিতর্ক

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– ‘গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসে সই করছেন প্রধানের স্বামী, তৃণমূল নেতা’ এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’। ঘটনা বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের হাটগ্রাম পঞ্চায়েতের। ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে সরব হয়েছেন ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা বর্তমানে জেলা তৃণমূলের সদস্য সৌমিত্র পতি। তার এই পোস্ট ঘিরে একদিকে যেমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে অন্যদিকে দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যদিকে সৌমিত্র পতির পোস্ট করা ওই ‘বিতর্কিত’ নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে শেয়ার করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

উল্লেখ্য, হাটগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা লায়েকের স্বামী যার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের নথিতে সই করার অভিযোগ উঠেছে সেই আনন্দ লায়েকে আবার ইন্দপুরের হাটগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বসেই একাধিক কাগজে প্রধানের স্বাক্ষরের জায়গায় তিনি সই করছেন, এমন ছবিই দেখা গেছে ওই বিতর্কিত ভিডিওটিতে। যদিও প্রধান কবিতা লায়েক ও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আনন্দ লায়েকের দাবি, ওই ভিডিও পুরনো। সৌমিত্রবাবু বিজেপির সাথে যুক্ত, তাই তৃণমূলেরও ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন ও তাঁদের বদনাম করতে চাইছেন।

অন্যদিকে এই একই অভিযোগ তুলে প্রধান ও তাঁর স্বামী আনন্দ লায়েকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও। ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি রেজাউল খানের দাবী, পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা লায়েকে বি.এ পাশ। উনি মূর্খ নন, যে অন্য কাওকে সই করে দিতে হবে। সৌমিত্র পতি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। তিনি পুরনো ভিডিও পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে, সৌমিত্র পতির পাল্টা দাবি, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই ভিডিও পেয়েছেন। প্রধানের সই অন্য কেউ করতে পারেনা, বিষয়টি বেআইনী। তাই দলকে জানানো প্রয়োজন মনে করে পোষ্টটি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন- ফলে তাঁর বর্তমান ব্লক তৃণমূল সভাপতির ‘সার্টিফিকিটে’র প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেছেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতির অভিযোগ এখন শুধুমাত্র বিজেপি করছে তা নয়, তৃণমূল‌ নিজেও করছে।” তৃণমূলের এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন দাবি করেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments