সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- এসআইআর প্রসঙ্গে বিজেপির নেতাদের জুতো মেরে গ্রামছাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূলের বাঁকুড়া শহর সভাপতি ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
প্রসঙ্গত বুধবার বিকেলে বাঁকুড়ায় মহিলা তৃণমূলের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঁকুড়া শহর সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে শোনা যায়, “আমরা জীবন দিতে রাজি আছি। কিন্তু বিজেপির মতো ধান্দাবাজদের দলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। বিজেপির যাঁরা এসআইআর করতে যাবে, তাঁদের জুতো, ঝাঁটা দিয়ে পিটিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেবেন।”
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য নিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিকাশ ঘোষের জবাবে বলেন, “জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে উনি কোনও কাজই করেননি। এখন বিজেপির নাম নিয়ে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন, মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন। তৃণমূলেরলোকজন যদি এই এলাকায় ঢোকেন, বিজেপিরও টিম তৈরি আছে। সাধারণ মানুষও বিজেপির সঙ্গে। তাই মানুষ কাকে ঝাঁটা, জুতো দিয়ে মারবে, তা আগামিদিনে প্রমাণ হয়ে যাবে।”
পরে শিবাজীবাবু নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, “বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা ভোটার তালিকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে গ্রামের মানুষের তো ক্ষোভ হবেই। এটা তো বিজেপির কাজ নয়, নির্বাচন কমিশনের কাজ। অথচ বিজেপি নেতারা রাস্তায় নেমে ভুল বোঝাচ্ছেন, চমকাচ্ছেন। এতে মানুষের ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। বাংলায় অশান্তি করতে গেলে মানুষ কি ছেড়ে দেবে নাকি?”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঞ্চে সেই উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি ও একাধিক তৃণমূল বিধায়কও। শিবাজীর বক্তব্যে কেউ আপত্তি না তোলায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে এটাই কি তৃণমূলের সরকারি অবস্থান ?


















