সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- একেই বাজারে আলুর দাম নেই। তার উপর অকাল বৃষ্টির খাঁড়া। আবাহওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। আর এই অকাল বর্ষণে খেতে জল জমে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়ার আলু চাষীরা। ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেখা যায় জেলার আলু খেতগুলিতে জল বার করতে ব্যস্ত চাষীরা। সারাদিন জুড়ে আলু চাষীরা আলুর জমি থেকে জল বার করেছেন। কোথাও কোদাল দিয়ে জমির আল কেটে, কোথাও আবার জমি থেকে জল ঝিকে, আবার কোথাও মেশিন চালিয়ে আলু জমি থেকে জল বার করছেন চাষীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে জমি থেকে জল বার করার কাজ। কেননা এই জল আলু জমিতে জমে থাকলে দ্রুত আলু গাছে এবং আলুতে পচন ধরাবে। চাষীদের বক্তব্য জল জমি থেকে বার করতে না পারলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। জমি থেকে একটিও আলু উদ্ধার করতে পারবেন না। তাই শ্রম দিয়ে যতটুকু রক্ষা করা যায় সেই চেষ্টাই চলাচ্ছেন।
জেলার চাষীরা জানান কেউ কৃষি ঋণ, কেউ বা খোলা বাজার থকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছেন। বিঘা পিছু ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই চাষে। এখন লাভ তো দূরের কথা মূল টাকা উঠবে কিনা সে নিয়েই চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
এদিকে আবহাওয়া দপ্তর আগামী কয়েক দিনের পূর্বাভাসে জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী রবিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায়। ফলে আলু চাষ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে চাষীদের।





