সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– অবৈধ সম্পর্কের জের! আসানসোলের বারাবনি থানার লালগঞ্জের বালিয়াপুর এলাকার পুকুর থেকে নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারে ঘটনায় চাঞ্চল্য। অবৈধ সম্পর্কের জেরে যুবককে খুনের অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
মৃত যুবকের নাম ভজন চক্রবর্তী (৪০)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যের পর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। কোনো খোঁজ না মেলায় অবশেষে বুধবার সকালে বারাবনি থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা । এরই মধ্যে বুধবার বিকেলে বালিয়াপুরের অদূরে জঙ্গলের ভেতরে একটি পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। সেই খবর পেয়ে যুবকের পরিজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তারা দেখেন পুকুরের জলে আধা ডোবা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভজন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন আগেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি যেভাবে পুকুরের পাড়ের দিকে পড়েছিল যুবক তাতে বোঝা যাচ্ছে ডলে ডুবিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। অন্যদিকে মৃত যুবকের পরিবারের তরফে এই খুনের জন্য বালিয়াপুর গ্রামেরই বাসিন্দা এক যুবককে দায়ী করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয় ওই যুবকের স্ত্রীর সঙ্গে মৃত ভজন চক্রবর্তীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তার জেরেই এই খুন করা হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তার প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, পুকুরের জলে ডুবেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “পরিবারের তরফে ভজন চক্রবর্তীকে খুন করা হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক যুবকের সঙ্গে মৃত যুবকের পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিলো। সেই কারণে এই ঘটনা বলে অভিযোগ। ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে । মৃত যুবক নেশা করতো। ঠিক কি হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”





