সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– খোলামুখ কয়লাখনিতে ব্লাস্টিংয়ের প্রতিবাদ ঘিরে চলল বেসরকারি সংস্থার অফিসে ও গাড়িতে ভাঙাচুর, আগুন লাগানো হল একাধিক গাড়িতে। ঘটনায় আহত হন বেসরকারি সংস্থার দুই কর্মী। এই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বারাবনি ব্লকের দোমোহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরণপুর খোলামুখ খনি এলাকায়।
জানা গেছে, আগে থেকেই চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনিতে ব্লাস্টিংয়ের প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন খয়লাখনি এলাকার আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগে খনিতে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামের ঘরবাড়ি। ফাটল দেখা দিচ্ছে একাধিক জায়গায়। বার বার বিষয়টি ইসিএল কর্তৃপক্ষ ও কয়লা উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা অসন্তোষ ও ক্ষোভ ছিলো। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে কয়লাখনিতে ব্লাস্টিং শুরু হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি এই ব্লাস্টিং এতটাই জোড়াল ছিল যে চারিদিক কেঁপে ওঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এপরই স্থানীয় গ্রামের ক্ষিপ্ত মানুষজন কয়লা উত্তোলনকারী বেসরকারি সংস্থার অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। প্রথমে অফিসের নিরাপত্তা রক্ষী ও কর্মীরা গ্রামবাসীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীদের সংখ্যা বেশী থাকায় অবশেষে তারা পিছু হটেন। হামলা আটকাতে গিয়ে দুই কর্মী আহতও হন। এরপর অফিস চত্বরে থাকা বেশ কিছু বড় ও ছোট গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি অফিসের কম্পিউটার ও কাগজপত্র বাইরে বার করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ও ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানরা এলাকায় ছুটে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের জানায়, খবর পেয়ে তাঁরা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখন এলাকায় কেউ ছিল না। তবে সংস্থার অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এদিন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ইসিএল বা বেসরকারি সংস্থার তরফে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
অন্যদিকে এদিনের হামলা নিয়ে ইসিএল ও বেসরকারি সংস্থার তরফে সবিস্তারে কিছু জানানো হয়নি। শুধুমাত্র পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।