জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমানঃ- ২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়ে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথোপাড়ায় চল্লিশ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহীদ হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তাদের স্মরণে পূর্ব বর্ধমানের বাবুরবাগের উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সক্রিয় সহযোগিতায় গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের সামনের চত্বরে এক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবির থেকে মোট ৫২ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে মহিলা ছিলেন ২২ জন। ‘প্রেম দিবস’-কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৭ জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা রক্তদান করে। সংগৃহীত রক্ত ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। গাছের চারা নিয়ে উপস্থিত ছিল ‘গাছ গ্রুপ’। সংস্থার পক্ষ থেকে রক্তদাতাদের হাতে স্মারক, সার্টিফিকেট ও একটি করে চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়।
শুধু রক্তদান শিবির নয় দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাস্তার ধারে জনৈক অসহায় ভিখারীকে পড়ে থাকতে দেখে সংস্থার উদ্ধারকারী দল তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তার সমস্ত প্রাথমিক খরচ বহন করে।
দীর্ঘদিন ধরে নিজে রক্তদান করা ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে সঞ্জয় যাদব ও সৌগত গুপ্তকে ‘রক্তবীর সম্মাননা’-য় ভূষিত করা হয়। এছাড়াও স্মারক সম্মাননা দেওয়া বর্ধমান হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার এমওআইসি ডঃ দিলীপ ঘোষ ও প্রাক্তন এমওআইসি ডঃ স্বপন কুমার বনিককে এবং
‘গাছ মাস্টার’ হিসাবে সুপরিচিত জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অরূপ চৌধুরীকে।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছে। একইসঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় অসহায় মানুষের দিকে। সংস্থার সম্পাদক দিব্যেন্দু দাস বললেন – সেবার আদর্শকে অনুসরণ করে দীর্ঘদিন ধরে আমরা মানুষের সেবা করে চলেছি। তবে কাজের সুবিধার্থে সংস্থাটি গড়ে উঠেছে মাত্র সাত মাস আগে। চলার পথে পাশে পেয়েছি অসংখ্য সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা। আশাকরি আগামীদিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সহযোগিতা পাব।