জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমানঃ- পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পরপরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রক্তদান শিবির প্রায় বন্ধ। ভোটের জন্য তো আর মুমূর্ষু রুগী বা দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেনা! কিন্তু ব্লাডব্যাংক গুলিতে রক্ত সঙ্কট দেখা যায়। বিপদে পড়ে দুর্ঘটনায় আহত বা মুমূর্ষু রুগীর আত্মীয় স্বজনেরা। অপারেশন টেবিলে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণতে শুরু করে রুগী।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে আংশিক সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল পূর্ব বর্ধমানের বাবুরবাগের ‘উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন’। তাদের উদ্যোগে এবং বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় ২৯ শে জুন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক চত্বরে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে আয়োজিত এই শিবির থেকে মোট ২৫ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে মহিলা ছিলেন ৫ জন। সংগৃহীত রক্ত ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে শিবিরে উপস্থিত ছিলেন দিব্যেন্দু দাস, অরিজিৎ রায়, অয়ন সরকার, মুনমুন দে, বানটু সহ অন্যান্য সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, এখনো বর্ষপূর্তি ঘটেনি। মানুষের সেবার জন্য বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় ইতিমধ্যে উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন দশটির বেশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ফেলেছে। জরুরি প্রয়োজনে তারা ডোনারের ব্যবস্থাও করে থাকে। এছাড়াও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, অক্সিজেন পরিষেবা, ঔষুধ, বস্ত্র ও শীতবস্ত্র বিতরণ, দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা ও ভর্তির ফি এবং পুষ্টি যুক্ত খাবার বিতরণ সহ বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে।
সংস্থার সম্পাদক দিব্যেন্দু দাস বললেন – কাজের সুবিধার্থে মাত্র সাত মাস আগে সংস্থাটি গড়ে উঠলেও সেবার আদর্শকে অনুসরণ করে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবা করে চলেছি। চলার পথে পাশে পেয়েছি বহু সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা। আশাকরি আগামীদিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের সহযোগিতা পাব। তিনি আরও বললেন – প্রতি বছর এই সময় ব্যাপকভাবে রক্তের ঘাটতি দ্যাখা যায়। থ্যালেসামিয়া রুগীর পরিবার সমস্যায় পড়ে যায়। আমরা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার ব্যাপারে উৎসাহ দিই এবং সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে থাকি। আমরা চাই আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এভাবেই এগিয়ে আসুক।