eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্রচণ্ড ঠাণ্ডা - আগুন জ্বেলে শরীর উত্তপ্ত করতে ব্যস্ত ওরা

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা – আগুন জ্বেলে শরীর উত্তপ্ত করতে ব্যস্ত ওরা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোটঃ- একে কী বলা যাবে – দার্জিলিংয়ে না গিয়েও দূর থেকে দার্জিলিংয়ের আবহওয়া উপভোগ করা! কেউ কেউ আবার ঠাট্টা করে বলছে – গরীবের দার্জিলিং দর্শন।পরিস্থিতি কার্যত সেই দিকেই যাচ্ছে। সকাল হতে না হতেই হিমালয় থেকে আগত কনকনে উত্তুরে বাতাস পশ্চিমবঙ্গবাসীর মনে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নামছে থার্মোমিটারের পারদ। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পারদের পতন ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি মানুষ শীতে জুবুথুবু। শীতের পোশাকও আর শরীর গরম রাখতে পারছেনা। সারা রাজ্যের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে যে অনেক নীচে নেমে গ্যাছে।

অথচ কয়েকদিন আগেই খামখেয়ালি আচরণ ছিল শীতের। সকালে ঠান্ডা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম, শরীর থেকে গরমের পোশাক খোলার ত‍ৎপরতা। সন্ধ্যা হতে না হতেই লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়া। চাষীরা তো আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা দেখে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে।

কিন্তু যাদের সেই সৌভাগ্য থাকেনা অর্থাৎ না থাকে শীতের পর্যাপ্ত পোশাক বা লেপ তাদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ হয়ে পড়ে। এদের দ্যাখা যায় স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়ে, অথবা রাস্তার ধারে খোলা বারান্দায়। কখনো কখনো খোলা আকাশের নীচে। কেউ কেউ আবার আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করে।

এই দৃশ্যই দ্যাখা গ্যালো পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর গ্রামে। প্রচন্ড ঠাণ্ডায় শ্যামল, উত্তম, স্বপনরা তখন খুব কাবু হয়ে পড়েছে। হাতের কাছে শুকনো জ্বালানি বস্তু ও কাঠ পেয়ে তাতেই শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছে। এই দৃশ্য শুধু গণপুর নয় গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। খুব ঠান্ডা পড়েছে! তাছাড়া একসঙ্গে পাশাপাশি বসে শরীর উত্তপ্ত করার আনন্দটাও আলাদা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments