জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমানঃ- সমাজ মাধ্যম বা সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে সাইবার ক্রাইম শব্দটি আমাদের প্রায় সবার জানা হয়ে গ্যাছে। প্রায়শই একটা খবর সামনে আসে – ব্যাংক প্রতারণার শিকার হলেন জনৈক ব্যক্তি। ব্যাংক আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এটিমের পিন নাম্বার জেনে নিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউণ্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। যত ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ছে ততই এই ধরনের খবর সামনে আসছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে চলেছে। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে ‘সাইবার ক্রাইম’ দপ্তর খোলা হয়েছে। তাও কমার পরিবর্তে এই ক্রাইম বেড়েই চলেছে। এর হাত থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের উপর তলার মানুষরা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছেনা। নিত্য নতুন ডিজাইন নিয়ে হাজির হচ্ছে এই ক্রাইম। অভিযোগের পাহাড় জমছে।নাজেহাল হতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে।
এবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য গত ৪ ঠা মার্চ এক কর্মশালার আয়োজন করে নেহেরু যুব কেন্দ্রের বর্ধমান শাখা। মূলত তাদের উদ্যোগে এবং শহরের সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সহযোদ্ধা ও বর্ধমান রাজ কলেজের এনএসএস বিভাগের সহযোগিতায় রাজ কলেজের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় মানসিক স্বাস্থ্য ও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত কর্মশালা।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন এবং এই দুটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে তারা তাদের মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন।
বর্ধমান সহযোদ্ধার সভাপতি তথা একটি কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ঋষিগোপাল মন্ডল বলেন – সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। অজানা নাম্বার থেকে ফোন এলে তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনকি তাদের নির্দেশমত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু ব্যাংক সংক্রান্ত প্রতারণা বেশি হয় তাই তাই এধরনের ফোন এলে সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যাংকে নিজের অ্যাকাউণ্ট আছে সেখানে যোগাযোগ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন। অন্যান্য বক্তারাও তাদের বক্তব্যে এই দুটি বিষয়ে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
বর্ধমান নেহেরু যুব কেন্দ্রের আধিকারিক উত্তরা বিশ্বাস বললেন -সাইবার ক্রাইম ও মানসিক স্বাস্থ্য এই দুটি প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেই আমাদের এই কর্মশালার আয়োজন। আশাকরি উপস্থিত প্রত্যেকেই এই কর্মশালা থেকে উপকৃত হবেন। তিনি আরও বলেন – আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আমরা এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা করব।