সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- চারিদিকে রং বেরঙের আবির , একে অপরের গালে রঙিন আবির রাঙিয়ে দিচ্ছেন যুবক-যুবতীরা। যেন মনে হতেই পারে এক টুকরো শান্তিনিকেতন। হ্যাঁ এবার বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাটে উঠে এল শান্তিনিকেতনের ছোঁয়া। সকাল থেকে বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পোড়ামাটির হাটে বসন্ত উৎসবে শামিল হতে সকলেই ভিড় জমিয়েছেন, আনন্দ উচ্ছাস কোথাও কোন খামতি নেই। আদিবাসী নৃত্য নাচ গান সবকিছুই ছিল জমজমাট। পিছিয়ে রইলেন না প্রশাসনিক অধিকর্তা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। এদিন পোড়ামাটির হাটে সাধারণের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের এসডিও মানস মন্ডল ও রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা মিলেমিশে এক হয়ে গেলেন। মেতে উঠলেন বসন্ত উৎসবের আনন্দমুখর মুহূর্তে। মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বাজালেন ধামসা মাদল। মন্ত্রীকে আবির দিয়ে রাঙিয়ে দিল সকলেই । এমন উচ্ছাস এমন আনন্দ শান্তিনিকেতন থেকে কোন অংশে কম নয়। মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, শুধুমাত্র আজকের দিনে নয় বছরে ৩৬৫ দিনে বিষ্ণুপুরে বসন্ত রয়েছে। ঐতিহ্য মন্ডিত বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাটে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন বলা যেতে পারে শান্তিনিকেতনের একটা অভূতপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিষ্ণুপুরের এসডিও মানস মন্ডল বলেন, সকলে মিলেমিশে আজকের দিনটাতে এখানে আনন্দ হচ্ছে এর পাশাপাশি বাইরে থেকেও পর্যটকরা এখানে এসেছেন । দোল উৎসবে এক অংশগ্রহণকারী বলেন, ভীষণ ভালো লাগছে একটা অন্যরকম অনুভূতি। আমি শান্তিনিকেতনে হোলি খেলে এসেছি কিন্তু বিষ্ণুপুরেও যে এত সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হবে একদম শান্তিনিকেতনের ধাঁচে দোল উৎসব হবে এটা সত্যিই অভাবনীয়।