সংবাদদাতা,বীরভূমঃ- পোকার আক্রমণে নাজেহাল অবস্থা বীরভূমের ধান চাষের। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। দুঃশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে এলাকার ধান চাষীদের।
জানা গেছে এবার বর্ষা ঠিক সময়ে আসায় কৃষকরা ঠিক সময়ে ধান রোপন করেছিলেন। কিন্তু গাছ একটু বড় হতেই প্রকৃতির খামখেয়ালিপানা আর রোষের কবলে পড়ে ধান চাষ। বীরভূমের ইলামবাজার, দুবরাজপুর, বোলপুর, নানুর ওই সকল ব্লকে একের পর এক পোকার আক্রমণে নাজেহাল অবস্থা চাষীদের। শ্যামা,খোলা পচা, মাজরা, শোষক ইত্যাদি পোকার আক্রমণে মাঠেই ধান পাকার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নরকম কীটনাশক ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। বিঘের পর বিঘে ফসল নষ্ট হচ্ছে।
এই পোকাগুলি মূলত ধানের গাছের রস শুষে নেয়, যার ফলে গাছ শুকিয়ে যায় এবং ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়। বেলার বৃষ্টি,উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় পোকার আক্রমণ বাড়ে। সেক্ষেত্রে বর্ষার শেষাশেষি নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও প্রচুপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই সঙ্গে উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়া পোকার আক্রমণে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
এলাকার কৃষকরা জানাচ্ছেন, জমিতে পা দিলেই দেখা যাচ্ছে, ধান গাছের গোড়ার আশপাশে থিকথিক করছে পোকা। আজ যে জমি সবুজ মনে হচ্ছে, পরদিনই দেখা যাচ্ছে ধান শুকিয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থা যে খড়টুকুও পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে ধান পাকিয়ে কিভাবে খামারে তুলবে, ভেবে পাচ্ছেন না কৃষকরা। এভাবে চলতে থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ন্যূনতম খরচও উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এদিকে বেশীরভাগ কৃষকই ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। সেক্ষেত্রে ঋণ শোধ কীভাবে হবে! ভেবে দিশাহারা এলাকার ধান চাষীরা। ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে সরকারি সহায়তা ও ঋণ মকুবের দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা।





