সংবাদদাতা,আসানসোল, বাঁকুড়াঃ- অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা নিয়ে এবার আনন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল রাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মীরা। কোথাও আবির খেলে, কোথাও আবার নকুলদানা-বাতাসা বিলি করে, ঢাক বাজিয়ে আনন্দে মাতলেন সকলে। পাশাপাশি এদিন আসানসোল সংশোধনাগার চত্বর গঙ্গাজল ও গোবরের ছড়া দিয়ে শুদ্ধি করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা।
মঙ্গলবার ভোরে অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই জেল চত্বরে গোবর গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে আবীর খেলায় মাতেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। ঢাক বাজিয়ে গেরুয়া আবির খেলে নৃত্যের তালে, আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠেন সকলে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির আসানসোল জেলা সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, আরও এক জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “সব চেয়ে বড় গরু চোর আজ দিল্লি যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের গরু চোরদের বাঁচানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে আদালতের নির্দেশে দিল্লি যেতেই হল। দোলের দিন এই সুখবর এল। তাই আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে গঙ্গা এবং গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হল।”
তবে শুধু আসানসোল জেল চত্বরই নয় অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়ার আনন্দে রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ উল্লাসে মাতেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। এদিন বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বিজেপি নেতা কর্মীরা ঢাক বাজিয়ে নকুল দানা আর গুর বাতাসা বিলি করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। নকুল দানা-বাতাসা বিলির সঙ্গে সঙ্গে ‘তিহার যাবে কেষ্ট, তাইতো পিসির কষ্ট’/’বৃথা পিসির চেষ্টা,তিহার গেলই কেষ্টা’ লেখা পোষ্টার আর ‘হরি বোল হরি বোল ফেঁসে ফেঁসে গেল অনুব্রতের ঢোল…’ ইত্যাদি স্লোগান ছিল বিজেপি কর্মীদের মুখে।
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ কর বলেন, “অবশেষে তিহার জেলের পথে অনুব্রত মণ্ডল। এরাজ্যের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেটাই চাইছিলেন। তাই আমরা ঢাকের ‘চড়াম চড়াম’ শব্দের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুড়-বাতাসা বিতরণ করলাম।” এদিন অনুব্রত মণ্ডলের তিহার যাত্রার মধ্য দিয়ে আংশিক বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো বলেও তিনি দাবি করেন।