সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ- বাসন মাজা, কাপড় কাচা সহ বাড়ির বিভিন্ন কাজ করানো হত ১০ বছরের নাবালিকাকে দিয়ে। আর সেই কাজ যদি নাবালিকাটি না করত তাহলে তাকে দেওয়া হত শাস্তি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুড়ার লক্ষনপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেল ৪ টে নাগাদ হুড়ার লক্ষনপু্রে এক বয়েজ হস্টেলে কাজ করছিলেন মীরা বাউরি। সেই সময় সে দেখতে পায় যে এক নাবালিকা খালি গায়ে চোখে মুখে ভয়ের ছাপ নিয়ে হস্টেলের দিকে আসছে। মীরা তখন নাবালিকার দিকে এগিয়ে যান। নাবালিকার চোখমুখ দেখে মীরাও তখন ঘাবড়ে যান। মীরা তখন ওই নাবালিকাকে শান্ত করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিচ্ছুক্ষন পরেই হুড়া থানার পুলিশ ওই নাবালিকাকে কাউন্সেলিং করে। নাবালিকাটি জানায় বাড়ির কাজ করানোর জন্য সুব্রত দাস নামে এক বিজেপি নেতা তাকে হুড়ার নডিয়াতে নিয়ে আসেন। নাবালিকাটি বলে তাকে দিয়ে বাসন মাজা, কাপড় কাচা সহ বাড়ির বিভিন্ন কাজ করানো হত। আর কাজ না করলেই কান ধরে ওঠবস করানো হত। এক এক সময় আবার চড়, থাপ্পড়ও মারা হত বলে অভিযোগ ওই নাবালিকার। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ির মালিক বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে শিশুশ্রমের এমন অভিযোগ ওঠায় হতবাক পুরুলিয়ার হুড়া সহ জেলার অনান্য রাজনৈতিক মহল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার ভিলেন হুড়া মণ্ডল সভাপতিকে আদালতে তোলা হয়। তবে হুড়ার বিজেপি মহলের বক্তব্য, “আমাদের মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি একাবারেই মিথ্যা। মণ্ডল সভাপতিকে ফাঁসানো হয়েছে। মণ্ডল সভাপতির একটি সন্তান রয়েছে। তাকে কোলে নিয়ে কাজ করত ওই নাবালিকা। ওই নাবালিকাকে দিয়ে কোনো ভারী কাজ করানো হত না বলে বিজেপি মহলের বক্তব্য”। হুড়া পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।