বিশেষ সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বাংলায় তৃনমূল কংগ্রেস কে দুর্বল করলে লাভ বিজেপির। যে বিজেপি গোটা দেশে “স্টেট লেস” হয়ে গেছে। “কিন্তু আমাদের সোনার বাংলায় আগুন লাগাতে- দিনে রাতে, এক সাথে কোমর বেঁধেছে সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গঁলবার দুপুরে বাঁকুড়ায় কর্মী সভায়। “গত লোক সভায় বিজেপি যে ভোট পেয়েছে- সব সিপিএমের ভোট। সবাই এ সব জেনে গেছে। এ রাজ্যে বিজেপি বলে কিছু নেই”, মত মমতার।
মঙ্গঁলবার ভিড়ে ঠাসা কর্মী সভায় মমতা বারে বারে বোঝানোর চেষ্টা করেন- দল এখন সৎ স্বচ্ছ, পরিশ্রমী তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপরই পুরোপুরি ভরসা করছে। যে সব নেতাকর্মীর আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, দল তাদের ব্রাত্য করবে। মমতা বলেন, “যে লোক মাটির ঘরে থাকে, যে কর্মী সাইকেলে করে বুথে যায়, সে আমার কর্মী। আমার নজর সব সময় তার ওপর থাকে”। পরক্ষনেই বিজেপি কে বিঁধে তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটে টাকা দিয়ে সিপিএম কে কিনেছিল ওরা। সিপিএম যে টাকার কাছে এ ভাবে বিক্রী হতে পারে, সেটা বুঝতে না পারা আমাদের রাজনৈতিক ভূল”। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের ‘আই প্যাক’র দাওয়াই যে কাজ করতে শুরু করেছে, মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের জন সভায় হাবে ভাবে তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আজ দিল্লির ভোট প্রমান করে দিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সত্যনিষ্ঠ লড়াই মানুষের কাছে কতটা গ্রহন যোগ্য। মনে রাখবেন, বিজেপি দিন দিন একটা স্টেট লেস দল হয়ে যাচ্ছে। কেজরিওয়াল, আমরা সব একসাথে লড়াই করে এটা করছি”।
“২০২১ র ভোটে টাকা বিলি করে আর ভোট কিনতে পারবে না ওরা। আস্তে আস্তে ওদের সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। মাত্র ৮ মাস আঘে দিল্লিতে ক্ষমতায় এল ওরা আর তারপরই এন.আর.সি, সি.এ.এ, এন.পি.আর করতে গিয়ে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড আর আজ দিল্লিতে ওরা ধরাশায়ী হল। মাঝে কি করল? ভারতীয় রেল, বি.এস.এন. এলের মতো গর্বের সব রাস্ট্রায়ত্ব সংস্থা বেচে দালাল দের সেবা করে গেল। তাই বলছি- বিজেপি কে শিক্ষা দেবে ২১ র বাংলা”।
এ দিন সি.এ.এ আর এন.পি.আর নিয়ে দলীয় কর্মীদের সচেতন করেন মমতা। তিনি বলেন, “ওরা আসাম, উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক আনছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে পাড়ায় পাড়ায় লোক ঢোকাচ্ছে। বলছে মেয়ের বিয়ের টাকা দেব। তারপর আপনার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড দেখতে চাইছে। ওদের বিশ্বাস করবেন না। ওরা সব লুঠ করবে। কোনো কাগজ দেখাবেন না”।
এ সব কি ভাবে আটকানো যাবে? তার পথ ও বাতলেছেন দল নেত্রী। তিনি বলেন, “আমার বুথ কর্মী দেরই আমি দলের নেতা মনে করি। আপনাদের সমস্যা আপনারা এখানকার দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারি, জেলা নেতা শুভাশিষ বটব্যাল কে বলবেন। দল সব খবর রাখছে”।