নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– সোশ্যাল মিডিয়ায় ( ফেসবুক ও এক্স এক্স হ্যান্ডেল) একটি ভিডিও পোস্ট করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ‘তোলাবাজি’ অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে শহরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ও বিতর্ক।
গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট করা ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থল কাঁকসার বাঁশকোপা টোল প্লাজা। সেখানে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা যাচ্ছে এক ট্রাক ড্রাইভারের সঙ্গে তুমুল বচসা করতে। ট্রাফিকের কর্মীকেও দেখা যাচ্ছে সেই ভিডিওতে।
ভিডিওটি পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,”এই ভিডিওটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের রাজবাঁধ গোপালপুর টোলপ্লাজার কাছে তোলা। একজন গাড়ির চালককে ওভারলোডিংয়ের বাহানায় ১০ হাজার টাকা দাবী করে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানে কোনো পুলিশ আধিকারিক বা মোটর ভেহিক্যালের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। গাড়ির চালক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তার উপর মারধর করার মিথ্যে অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা করা হয়। প্রতিষ্ঠানিক তোলাবাজি যদি আইনি গ্রহণযোগ্যতা থাকত তাহলে রাজ্যের কর আদায় কাঠামো সবচেয়ে ওপরে স্থান করে নিত তোলাবাজির উৎস।”
অন্যদিকে ওই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হতেই বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন এডিপিসির এসিপি ট্রাফিক (৩) রাজকুমার মালাকার। বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে নস্যাৎ করে দিয়ে রাজকুমারবাবু এদিন বলেন, “উনি যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। উনি যে বলছেন ট্রাফিকের সার্জেন্ট ছিল না সেটাও ঠিক কথা নয়। ট্রাফিকের একজন সার্জেন্ট একটি ওভারলোড ট্রাককে আটকায়। ওজন করা হলে ওভারলোড ধরা পড়ে। গাড়িটি ডোমজুড় থেকে দুর্গাপুরের একটি জায়গায় যাচ্ছিল। ওভারলোড থাকায় ফাইন দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাছাড়া গাড়ি পার্কিং করা হবে বলেও জানানো হয়। টোল প্লাজা পার করে গাড়িটি পার্কিং করার জন্য নিয়ে যায় একজন সিভিক। ফাইন দিতে না চাইলে এবং পার্কিং করতে না চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। তখনই গাড়িটি পার্কিং না করে ট্রাক ড্রাইভার ওভারলোড ট্রাক নিয়ে পালায়। টাকা,পয়সা দেওয়ার বা চাওয়ার কোন ব্যাপারই নেই। এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। “
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, “উনি সব সময়ই কিছু না কিছু অদ্ভুত,অদ্ভুত পোস্ট করছেন। এসবের পিছনে সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।”





