নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- গত ১৬ আগস্ট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, দুর্গাপুর জাঁকজমক ও গর্বের সাথে পালন করল তার প্রতিষ্ঠা দিবস। শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ৬৫টি গৌরবময় বছরের শ্রেষ্ঠত্ব স্মরণ করে উদযাপিত হল ব্লু স্যাফায়ার জুবিলি ইয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারপার্সন-কাম-ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি. এম. প্রসাদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের আইএসপি-ডিএসপি-এর ডিরেক্টর-ইন-চার্জ সুরজিৎ মিশ্র। এছাড়াও এই ঐতিহাসিক উদযাপন প্রত্যক্ষ করতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি সদস্য, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থী এবং শিল্প ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
এদিন সকালের বৃক্ষরোপণের মাধ্যমের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ব্যাচের বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তাঁদের অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয় এবং শিক্ষার্থীরা জাঁকজমক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে, প্রতিষ্ঠানের ইনোভেশন কাউন্সিল (IIC) এর অধীনে উৎকর্ষ ভবনে ইনোভেশন এবং ইনকিউবেশন সেলের উদ্বোধন করা হয়। নতুন এই সুবিধার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের মধ্যে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তাতা বৃদ্ধি করা, যাতে তাঁরা সমাজ এবং শিল্পের জন্য কার্যকর সমাধানে ধারণাগুলিকে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পি. এম. প্রসাদ রিজিওনাল কলেজ থেকে শুরু করে বর্তমান এনআইটি, দুর্গাপুরের অসাধারণ যাত্রার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশের প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ এবং গবেষকদের সমৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সুরজিৎ মিশ্র তাঁর বক্তব্যে দেশের শিল্প বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তাদের লালন-পালনে এনআইটি দুর্গাপুরের মতো প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা তুলে ধরেন।
অন্যদিকে এনআইটি দুর্গাপুরের পরিচালক অধ্যাপক অরবিন্দ চৌবে, আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূ্র্ণ অবদান রাখতে এনআইটি, দুর্গাপুর প্রতিশ্রুবদ্ধ বলে জানান।
সব মিলিয়ে এনআইটি দুর্গাপুরের ঐতিহ্যকে জ্ঞান ও উদ্ভাবনের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা ও পরিকল্পনা নিয়ে নতুন উৎসাহের সাথে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।





