অঙ্কিতা চ্যাটার্জ্জী, বাঁকুড়া:- বর্তমানে ভদ্রভাবে বলা হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের, আসলে ওরা হিজড়া। সমাজ ওদের ঘৃণার চোখে দেখে। সব থাকতেও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ওদের থাকতে হয়। ট্রেনে, বাসে কার্যত ভিক্ষা করে অথবা সদ্যোজাত শিশুদের কোলে নিয়ে নাচিয়ে তার থেকে প্রাপ্য অর্থ দিয়ে কোনোরকমে ওরা জীবিকা নির্বাহ করে। তারপরও সমাজের প্রতি যে ওদের একটা দায়বদ্ধতা আছে তার পরিচয় ওরা বারবার দিয়ে গেছে। করোনার আতঙ্কে অনেকেই যখন গৃহবন্দী ওদের তখন যাত্রীদের হাতে মাক্স ও স্যানিটাইজার তুলে দিতে দেখা গেছে। এবার তাদের বস্ত্রদানের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের সারেশকোল গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসী সহ সকলের মঙ্গল কামনায় প্রতি বছরের মত এবছরও সারেঙ্গা ব্লকের নেতুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সারেশকোল উত্তরপাড়ায় শুরু হয়েছে নাম সংকীর্তন। গত ৫ ই মার্চ সেখানেই সর্বভারতীয় বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বস্ত্র। এই প্রথমবারের জন্য জঙ্গলমহলের কোন এক গ্রাম বৃহন্নলাদের দ্বারা বস্ত্রদান উৎসবের সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল। বৃহন্নলাদের এই উদ্যোগকে সমস্ত গ্রামবাসী স্বাগত জানায় এবং তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
বিশিষ্ট সমাজসেবী বিদ্যাসুন্দর হালদার বলেন- গ্রামবাসীদের মঙ্গল কামনায় প্রতি বছরেই আমাদের গ্রামে রাধা-গোবিন্দের নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গুরুমা পূজা নায়েক ও কিরণ রায় সহ অন্যান্যদের সহযোগিতায় বস্ত্রদান করা হয়। এই সমস্ত বৃহন্নলাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যারা আমাদের সমাজ সেবায় আবদ্ধ করলেন।