নিজস্ব সংবাদদাতা,বুদবুদঃ– অবৈধ গর্ভপাতের জেরে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার বুদবুদের এক বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক তথা ডাক্তার। জানা গেছে জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ ওই চিকিৎসককে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আউসগ্রাম থানারপুলিশ এবং ২৮ তারিখ বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠান। এছাড়াও ওই ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গত শনিবার আদালতে ঘটনার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে এক আত্মীয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল বছর ১৪’র নাবালিকা। নির্যাতনকারী পরিবারের জামাই। তিনি প্রায়ই নাবালিকার বাড়িতে থাকতেন। আর সেই সুযোগেই নাবালিকাকে নির্যাতন করতেন। অভিযোগ বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকিও দিতেন ওই জামাই। যদিও নাবালিকা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে এবং গত পয়লা জানুয়ারি বুদবুদের একটি নার্সিংহোমে নাবালিকার গর্ভপাত করাতে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেদিন বাড়ি ফিরে রাতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। পরের দিন পরিবারের বোকজন ও স্থানীয়রা মিলে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় জরায়ুতে ফুটো হয়ে অত্যাধিক রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয় নাবালিকার। এরপরে পুলিশ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে যে চিকিৎসক নাবালিকার গর্ভপাত করেছিলেন তার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন জানায়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট জানা যায়, গর্ভপাত ‘মেডিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন’ অনুযায়ী করা হয়নি। এমনকি যে নার্সিংহোমে নাবালিকার গর্ভপাত করা হয় সেই নার্সিংহোমে গর্ভপাত করার অনুমতি ছিল না। এরপরই পুলিশ ওই নার্সিংহোমের মালিক ও চিকিৎসক ৭৮ বছর বয়সী তাপস কুমার পালকে গ্রেফতার করে।





