সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, পূর্ব বর্ধমান-: পূর্ব বর্ধমানের বাবুরবাগের বাসিন্দা পান্নালাল সরকার নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী বারবার দুস্থদের পাশে থেকেছেন, তাদের দিকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণের পর ওইসব অসহায় দুস্থরা যখন ভাবতে শুরু করে আর হয়তো তাদের দিকে সরকার পরিবারের কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেনা তখন তাদের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে এগিয়ে আসেন প্রয়াত পান্নালাল কন্যা মৌমিতা গড়াই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। মহতী কাজের জন্য তারা পান্নালাল বাবুর প্রয়াণ দিবসটি বেছে নেন এবং প্রয়াণের ১৩ তম বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
প্রয়াত বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর ১৩ তম প্রয়াণ দিবসে গত ১২ ই সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে সুষম খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়। বর্ধমান রেলস্টেশনের প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় সুষম খাবার। বিগত বছরের মত এবছরও এই মহতী কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন’-এর সদস্যরা।
মহতী কাজে পান্নালাল বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী শুক্লা সরকার, কন্যা মৌমিতা গড়াই, নাতি শ্রমণ কুমার গড়াই সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। অন্যদিকে ‘উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন – দিব্যেন্দু, অরিজিৎ, সনু, সুকান্ত, শুভেন্দু, বাপ্পা, পিনাকী,তনিমা, মিঠু, সমাপ্তি, রুমা, নীলেশ, অয়ন, প্রীতম সহ অনান্য সদস্যরা।
মৌমিতা দেবী বললেন, ছোট থেকেই আমার বাবাকে দুস্থদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখেছি। নিজেদের সাধ্যমতো প্রয়াত বাবার আশীর্বাদকে পাথেয় করে সেই আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করে চলেছি। আশাকরি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই আদর্শ অনুসরণ করবে।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত বাবার আদর্শ অনুসরণ করে মৌমিতা দেবী নিজেও বিভিন্ন সময় সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। কিছুদিন আগেই তিনি বর্ধমান শহরের কিছু দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেন কম্বল ও নতুন পোশাক।
‘উৎসর্গ রিলিফ ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে দিব্যেন্দু দাস বললেন, দীর্ঘদিন ধরেই সরকার পরিবার সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসাবে আমরা বরাবর তাদের পাশে থেকেছি। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা। পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন।