eaibanglai
Homeএই বাংলায়শিশু পড়ায় পিছিয়ে, হাতের শিরা কেটে খুন করে মরতে চাইলো মা'ও

শিশু পড়ায় পিছিয়ে, হাতের শিরা কেটে খুন করে মরতে চাইলো মা’ও

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান:- মাত্র আড়াই বছরের শিশুকন্যা রোজ পিছিয়ে পড়ছে পড়াশোনায়, পারছেনা অন্যদের মতো। স্রেফ এই আক্ষেপেই মা ওই শিশুর হাতের শিরা কেটে খুন করে স্বস্তি পেতে চাইলেন শেষে নিজেকে শেষ করতে চেয়ে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় হতবাক শহরের মানুষজন থেকে পুলিশ, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরাও। ভাবনা বেড়েছে – এইভাবে অভিভাবকেরাও শিশুর পড়াশোনা নিয়ে প্রাণঘাতী প্রতিযোগিতায় কি নেমে পড়ছেন স্রেফ মানসিক বিকারের পাল্লায় পড়ে? শহুরে সভ্যতার এই নতুন রোগ কি ছোঁয়াচে, নাকি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? শুক্রবার দিনভর এনিয়ে চলল বিস্তর চর্চা।

মানসিক অবসাদে আড়াই বছরের খুদের দুই হাতের শিরা কেটে হত্যা করার পর নিজেও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন মা। মৃত শিশুর নাম বর্ষা হাজরা। শিশুর মায়ের নাম শ্রাবন্তী হাজরা। বর্ধমান শহরের ৫ নং ইছলাবাদের ওলাইচন্ডীতলা এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বর্ধমান থানার পুলিশ শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রাবন্তী হাজরাকেও সেখানেই ভর্তি করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পড়াশোনা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মেয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে এই অবসাদে ভুগছিলেন শ্রাবন্তী হাজরা। এই অবসাদ থেকেই ঘরের মধ্যেই মেয়েকে দুই হাতের শিরা কেটে হত্যা করার পর নিজেও একইভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পুলিশের দাবী,মা ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং সঙ্কটজনক অবস্থায় শ্রাবন্তী হাজরা চিকিৎসাধীন। একইসাথে পাশের ঘরেই শিশুর বাবা থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন কোনো কিছু টের পেলেন না বা ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments