সংবাদদাতা, বর্ধমান: এবার নারকীয় পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার কুরুম্বা গ্রামে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে এক গৃহবধূকে হাত,পা ও মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রতিবেশী আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ বর্তমানে বর্ধমান হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্পতিগত কারণে কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বীথিকা গড়াইয়ের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের আত্মীয় প্রতিবেশী আশুতোষ গড়াইয়ের পরিবারের গত ৫ বছর ধরে অশান্তি চলছে। সম্পত্তিগত এই বিবাদ কোর্ট পর্যন্তও গড়ায়। অভিযোগ উঠেছে, শনিবার সকালে বীথিকা গড়াই অন্যদিনের মতই বাড়ির সদর দরজার কাছে কাজ করছিলেন। সেই সময় আশুতোষ গড়াইয়ের পরিবার তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে বীথিকা গড়াইয়ের আর্তনাদ শুনে তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্ধমান হাসপাতাল সূত্রে বীথিকা গড়াইয়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীথিকা গড়াইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলকোট থানায় আশুতোষ গড়াইয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ আশুতোষ গড়াই ও পূর্ণচন্দ্র গড়াইকে গ্রেপ্তার করেছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।