সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বাংলা – ঝাড়খন্ড সীমানা রামপুর চেকপোষ্টে দুর্গাপুরগামী যাত্রীবাহী বাসে চেকিংয়ের নামে যাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল মোটর ভেহিকেলস দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে অসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডে রাঁচি থেকে দুর্গাপুরগামী ওই বাসের যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, “এটা সরকার বিরোধী কাজ। আমরা অভিযুক্ত এমভিআইয়ের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী জানিয়েছি।”
বিদ্যুৎ গুপ্ত নামে ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, “আমি ও আমার পরিবার বাসে ছিলাম । হঠাৎ একটি আরটিও লেখা গাড়ি বাসের সামনে দাঁড়ায়। সেই গাড়ি থেকে তিনজন নেমে বাসের মধ্যে উঠেন। তারা চেকিংয়ের নামে চালকের থেকে যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে নেন। দুজন বাস কর্মীর মোবাইলও নিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি একজনকে থাপ্পড়ও মারা হয়। এরপর তারা বাসটি থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বাসের যাত্রীরা প্রতিবাদ জানায়। বাসে শিশু মহিলা সহ প্রবীণরাও ছিলেন। তাই যাত্রীরা বলেন, আগে আমাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হোক। তারপর আপনাদের যা করার করুণ। সবাই মিলে বারবার বলায় প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বাসটিকে ছাড়া হয়।” বিদ্যুৎবাবু দাবি করেন এদিন ওই বাসের যাত্রীরা চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়।
অন্যিদেক বাস চালক নেপাল চন্দ্র নায়ক বলেন, “আমার লাইসেন্স ও সব কাগজপত্র নিয়ে নিয়েছে ওরা। আমার বাসের সামনের দিকে যানজট হওয়ায়, কোনমতে যখন বেরোনোর চেষ্টা করছিলাম ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তখনই ওরা বাসটাকে ধরে।”
যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলার আরটিও বা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক মৃন্ময় মজুমদার, হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঝাড়খন্ড থেকে আসা ওই বাসে রুটিন চেকিং করা হয়েছে। ওই বাসের মাথায় প্রচুর পরিমাণে মাল ছিল। সেইজন্যই পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা কাগজপত্র পরীক্ষা করার জন্য বাসটিকে আটকায়। তিনি দাবি করেন কারোর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি বা মারধর করা হয়নি। চালকের কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য যেসব নথি নেওয়া হয়েছে সেগুলি সব ফটোকপি বলেও দাবি করেছেন তিনি।
যদিও চালক সহ বাসকর্মী ও যাত্রীরা এমভিআইয়ের অফিসারদের এই আচরণকে অমানবিক এবং অন্যায় বলে দাবি করেছেন।